টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিখোঁজের ৪৫ দিন পর মোশারফ মিয়া নামের এক প্রবাসীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে উপজেলার বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের গজারিয়া বিল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে স্থানীয় জেলেরা গজারিয়া বিলে মাছ ধরতে যায়। এ সময় তারা জাল টানতে গিয়ে মোজাসহ পায়ের গোড়ালির হাড় দেখতে পেয়ে ভয়ে চলে এসে স্থানীয় লোকজনকে জানায়। প্রবাসী মোশারফ হত্যা মামলার আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে, মরদেহটি ওই বিলে ফেলেছিল বলে জানিয়েছিল। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। পরে দুপুরে ডুবুরি দল এসে প্রায় দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় নিখোঁজের ৪৫ দিন পর গজারিয়া বিল থেকে প্রবাসী মোশারফ মিয়ার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট রাত ৯টার দিকে ঘাটাইলের কদমতলী গরুর হাট থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হন প্রবাসী মোশারফ। পরদিন তার পরিবার ঘাটাইল থানায় জিডি করলে পুলিশ তার কললিস্টের সূত্র ধরে গত ১৬ আগস্ট রাতে প্রতিবেশী সৌদি প্রবাসী ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী ও কালিহাতী উপজেলার বীরবাসিন্দা গ্রামের মৃত মেসের আলী মণ্ডলের মেয়ে নাসিমাকে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দীর্ঘদিনের পরকীয়ার কথা স্বীকার করেন নাসিমা। স্বীকারোক্তিতে তিনি জানান, গত ৪ আগস্ট মোশারফের সঙ্গে তিনি দেখা করেন এবং ভাই আখতারের পরিকল্পনায় ও সহায়তায় কালিহাতী উপজেলার বীরবাসিন্দা এলাকায় খুন করে বস্তায় ভরে ইট বেঁধে ওই গ্রামের গজারিয়া বিলে ডুবিয়ে রাখে। পরে নাসিমাকে গত ১৭ আগস্ট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে মামলার অন্যতম আসামি আখতার মুন্সিকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ।