রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে আটক করেছে র্যাব। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর নিকেতনে শামীমের কার্যালয় থেকে তাকে আটক করা হয়।
শামীমের সঙ্গে তার ৭ দেহরক্ষীকেও আটক করা হয়েছে। র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। শামীমের কাছ থেকে অত্যাধুনিক একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও তার সাত দেহরক্ষীর কাছ থেকে আরও সাতটি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে।
টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। জি কে শামীম যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বলে কথা লোকমুখে শোনা গেলেও সংগঠনটির শিক্ষা সম্পাদক মিজানুল ইসলাম মিজু বলছেন, শামীম যুবলীগের কেউ নন, তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
এদিকে র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম শামীমের ওই কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। এরআগে অবৈধ জুয়া ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে র্যাবের হাতে আটক হয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় তাকে ৭ দিনের রিমান্ডেও পেয়েছে পুলিশ।
সম্প্রতি ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতার বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপরই ছাত্রলীগের পদ হারান শোভন-রাব্বানী। এরপর আটক হন খালেদ ও আজ শামীমের কার্যালয়ে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব।