চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরার ঘাটগড় এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করা অজ্ঞাতনামা লাশটি একজন চিকিৎসকের বলে শুক্রবার রাতে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
নিহত চিকিৎসকের নাম মো: শাহ আলম (৫৮)। তিনি ছোট কুমিরা এলাকার মৃত আজিজুল হক মাস্টারের ছেলে। নিজের দেশের মানুষদের সেবা দেয়ার জন্য তিনি সৌদি আরবের আকর্ষণীয় বেতনের চাকরি ছেড়ে কিছুদিন আগে বাংলাদেশে আসেন।
এর আগে শুক্রবার সকালে দিকে কুমিরা ঘাটঘর এলাকার বাইপাশ সড়কের পাশে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে লাশটি ওই স্থানে ফেলে যায় বলে ধারণা করছে পুলিশ।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামীম শেখ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশটি উদ্ধার করেছে। সিআইডি ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছে। রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
কুমিরার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোরশেদ চৌধুরী লাশটি ডা. শাহ আলমের বলে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, প্রতিদিনের মত রোগী দেখে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে চেম্বার থেকে গাড়ি যোগে চট্টগ্রাম শহরে নিজ বাসায় যাচ্ছিলেন মো: শাহ আলম। তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর সৌদি আরবের মদিনা হাসপাতালে শিশু বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এলাকার মানুষকে সেবা দেয়ার জন্য ছোট কুমিরা বাজারে ‘বেবি কেয়ার’ নামে ক্লিনিক খুলে ছিলেন।
চেয়ারম্যান বলেন, রাতে চেম্বার থেকে চট্টগ্রাম শহরের বাসায় যাওয়ার পথে তাকে খুন করে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। ময়নাতদন্তের রির্পোট আসার পর বিস্তারিত জানা যাবে।
এ ব্যাপারে ডা. শাহ আলমের নিকট আত্মীয় ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, অত্যন্ত ঠাণ্ডা ও শান্ত মানুষটা সৌদি আরবের মদিনা হাসপাতালে শিশু বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিজ এলাকার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে মদিনার চাকরি ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে এসে কুমিরার মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে একটি আধুনিক ও মানসম্মত শিশু সেবা ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন। – ইউএনবি