প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চীনের হুবেই প্রদেশে মৃত্যুর মিছিলে বৃহস্পতিবার যোগ হয়েছে আরও ১১৬ জন। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৮৩ জনে। নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও চার হাজার ৮২৩ জন। সবমিলিয়ে এ প্রদেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজার ৯৮৬ জনে। তবে
করোনা ভাইরাস মহামারীর আকার ধারণ করেছে চীনে। কেবল চীনে নয়, এই ভাইরাস এখন বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। চীন ছাড়াও বিভিন্ন দেশে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকে মারা গেছে। তবে এর মধ্যেই আশ্চর্য একটি খবর পাওয়া গেছে। আর তা হলো উইঘুর মুসলিরা করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত রয়েছে। অথচ যে পরিবেশ রাখা
যুক্তরাষ্ট্রের দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের মাধ্যমে ফাঁস হওয়া ৪০০ পৃষ্ঠারও বেশি অভ্যন্তরীণ সরকারি দলিলগুলোতে চীনের উইঘুর মুসলিমদের আটকের বিষয়ে মূল বিবরণ প্রকাশ হয়েছে। সরকারি ওই দলিলগুলোতে দেখা যায় যে চীনের জিনজিয়াং রাজ্যে প্রায় ১০ লাখ উইঘুর, কাজাখ এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর চীনের রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন করা হয়। চীনে প্রায় দেড়
ব্রিটেনে লরি থেকে যে ৩৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে; তারা সবাই চীনের উইঘুর মুসলিম। গতকাল বৃহস্পতিবার লন্ডনের বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে লন্ডনের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে তাদের চীনের নাগরিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। লন্ডন পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হয়েছি যে, মৃতদের আটজন নারী এবং ৩১
বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থার তথ্য মতে চীন সরকার তার দেশে ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে বন্দিশিবিরে আটকে রেখে নির্যাতন করছে। ধর্মান্তর এবং মুসলিম তরুণীদেরকে জোরপূর্বক অমুসলিমদের কাছে বিবাহ বসতে বাধ্য করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, উইঘুর মুসলিমদের হত্যার পর তাদের দেহের বিভিন্ন অঙ্গগুলোও বিক্রি করছে বলেও অভিযোগ
চীনে উইঘুর মুসলিমদের ওপর সর্বশেষ নিপীড়নের খড়গ নেমেছে। দেশটিতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের মদ আর শূকরের মাংস খেতে বাধ্য করা হচ্ছে, যা মুসলিম আইনে নিষিদ্ধ। খবর ইয়েনি শাফাক স্থানীয় শিনজিয়ানরা বলেন, আমরা যদি নতুন বছরে রাতের খাবারে শূকরের মাংস না খাই তাহলে কারিগরি শিক্ষাকেন্দ্রে আটক করার হুমকি দিচ্ছে চীনা কর্তৃপক্ষ। ফ্রি এশিয়ান
চীনে নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমরা নিজেদের স্বাধীনতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্য চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মিছিল করেছে। ১২ নভেম্বার ছিল উইঘুরদের ৭৪ ও ৮৫তম স্বাধীনতা দিবস। ১৯৩৩ ও ১৯৪৪ সালে স্বল্প সময়ের জন্য পূর্ব তুর্কিস্তান নামে স্বাধীন দেশ পেয়েছিল উইঘুররা। পরে তা চীনের অংশ হয়ে যায়। জাতিসংঘের দাবি অনুসারে-চীনের বন্দিশালায়
অবশেষে বন্দী শিবিরে উইঘুর মুসলিমদের বন্দী করে রাখার বিষয়টি স্বীকার করেছে চীন। লাখ লাখ উইঘুর মুসলিমের লাপাত্তা হয়ে যাওয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগের মুখে চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের কর্তৃপক্ষ বন্দী শিবিরগুলোকে আইন করে বৈধতা দিয়েছে। বলা হচ্ছে, ইসলামি কট্টরবাদ মোকাবেলার অংশ হিসেবে আটক উইঘুরদের আদর্শ শেখানো, তাদের চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা চলছে।
চীনের স্বায়ত্বশাসিত জিনজিয়াং অঞ্চলের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে ‘পদ্ধতিগত নিপীড়ন’ বন্ধ করতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ব্রিটেনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এছাড়া জোরপূর্বক জিনজিয়াংয়ের বন্দি শিবিরে আটক উইঘুর সম্প্রদায়ের দশ লাখ মুসলিমকে মুক্ত করে দেয়ারও আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। চীনের বাইরে বসবাসরত সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের একশ’র বেশি আত্মীয় স্বজনের সাক্ষাৎকারের