সেই ১৯৯৮ থেকে শুরু ২০১৮ পর্যন্ত যুব বিশ্বকাপের ১২টি আসরে সাতবার অস্ট্রেলিয়ার যুব দলের মুখোমুখি হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। কিন্তু একবারও তারা হারাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ার যুবাদের। অবশেষে রবার্ট ব্রুসের গল্পকেও হার মানিয়ে অষ্টমবারে এসে অসিদের বিপক্ষে জয় পেয়েছে ক্যারিবীয় যুবারা। দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপের ১৩তম আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে
এক ইনিংসে ১২ জন ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেলেন। তবু বড় পরাজয় এড়াতে পারলো না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতীয় বোলারদের সামনে অসহায় ক্যারিবীয়রা ঘরের মাঠে আরেকটি বড় হারে হোয়াইটওয়াশই হয়েছে। তবে এমন এক ম্যাচে ঠিকই ইতিহাসের পাতায় উঠে গেছে ক্যারিবীয়রা। টেস্ট ইতিহাসে এমন ঘটনা আগে ঘটেনি। এক ইনিংসে ব্যাটিং করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১২
লজ্জা এড়াতে পারলো না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এক ম্যাচ হাতে থাকতেই ভারতের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খুইয়ে বসেছিল ক্যারিবীয়রা। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি ছিল তাদের হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর। সেটাও হলো না। যুক্তরাষ্ট্রের প্রোভিডেন্সে টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের উড়িয়ে দিয়েই হোয়াইটওয়াশ মিশন শেষ করেছে বিরাট কোহলির ভারত। ম্যাচটি তারা জিতেছে ৭ উইকেট আর ৫ বল
শেষদিকে মোটামুটি নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। কিন্তু ক্যারিবীয়দের বড় সংগ্রহ আটকে রাখা সম্ভব হয়নি। টনটনে ৮ উইকেটে ৩২১ রানের পুঁজি দাঁড় করিয়েছে জেসন হোল্ডারের দল। অর্থাৎ জিততে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ৩২২ রান। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বোলিং উদ্বোধন করেন
বিশ্বকাপে এর আগে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়েছে চারবার। একবারও জয় নেই বাংলাদেশের। সর্বশেষ ২০১১ সালে ঘরের মাঠে এই ক্যারিবীয়দের কাছেই ৫৮ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জায় ডুবেছিল বাংলাদেশ। যদিও এবার শক্তি-সামর্থ্যে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে অনেক এগিয়ে। সেই এগিয়ে থাকার কারণেই এবার বাংলাদেশের কাছে সমর্থকদের প্রত্যাশা বেশি। টনটনে আজ কি
জয়ের জন্য আসল কাজটা করে দিয়েছিলেন বোলাররা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে যে ক্যারিবীয় ব্যাটিং লাইনআপ ৩৮১ রান করে ফেলে কিংবা ৩৩৮ রানও তাড়া করে জিতে যায়, সেই ব্যাটিং লাইনআপকে বাংলাদেশ বেধে রেখেছে মাত্র ২৪৭ রানে। ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা এর চেয়ে আর বেশি সহজ হওয়ার কথাও নয়। সেই সহজ কাজটাকেই শেষ পর্যন্ত বাস্তবে
ম্যাচ হারলে সুযোগ থাকবে আরও একটি, তবে জিতলে নিশ্চিত ফাইনালের টিকিট- এমন সমীকরণের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩২৮ রানের! নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে কখনো এত বড় লক্ষ্য তারা করে জেতেনি তারা। ফলে ফাইনালের টিকিট পেতে হলে গড়তে হতো রেকর্ড। আর এ রেকর্ডের জন্য এগিয়ে আসতে হতো টপঅর্ডারের ব্যাটসম্যানদের।
উদ্বোধনী জুটিতে শাই হোপ এবং সুনিল অ্যামব্রিস, পরে তৃতীয় উইকেটে রস্টোন চেজের সঙ্গে মিলে টাইগারদের রান পাহাড়ে চাপা দেয়ার প্রাথমিক কাজটা প্রায় সেরেই ফেলেছিলেন হোপ। তবে শেষদিকে বাংলাদেশি বোলাররা ঘুরে দাঁড়ালে খুব বেশি বড় হয়নি ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ। বরাবরের মতো আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে বোলারদের সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩৬ রানে হারিয়ে সমতায় ফিরেছে টাইগাররা। এই ম্যাচে ব্যাটে-বলে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে একাই নায়কে পরিণত হন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ২৬ বলে অপরাজিত ৪২ রান করার পাশাপাশি বল হাতে একাই নেন ৫ উইকেট। কিন্তু এমন ম্যাচেও জরিমানার কলঙ্ক লেপ্টে গেলো
সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা হলো না বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের ইতিহাসে চলতি বছর মার্চেই ২১৫ রানের ইতিহাস গড়েছিল টাইগাররা। এবার সেটাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। তবে রেকর্ড গড়তে না পারলেও নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মত দুই শ’ রানের গণ্ডি পার হলো সাকিব আল হাসানের দল। ঢাকার মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি