ক্রিকেটে পুরুষ মহিলা উভয় বিভাগ, কাবাডিতে মহিলা দল— এ ৩ পদকের প্রত্যাশা নিয়েই এশিয়ান গেমসে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ১৩ ডিসিপ্লিনের মধ্যে শুটিং ও আরচারি থাকছে সম্ভাব্য তালিকায়। যোগফল মিললে এ দুই ডিসিপ্লিন অর্জনের তালিকা সমৃদ্ধ করবে। দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচনে ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া আসরটির আগে এই হচ্ছে বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের প্রত্যাশা-সংক্রান্ত কথাবার্তার সারাংশ।
‘পুরুষ ও মহিলা ক্রিকেট এবং কাবাডি এ তিনটি পদকের প্রত্যাশা নিয়ে যাচ্ছি আমরা। আপনারা জানেন শুটিং ও আরচারি বরাবরই সম্ভাবনাময়। নিজেদের দিনে শুটার ও আরচাররাও পারেন অর্জনের খাতা সমৃদ্ধ করতে’— গতকাল বলেছেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা।
২০১০ সালে গুয়াংজু এশিয়ান গেমসে প্রথমবারের মতো অন্তর্ভুক্ত হয় ক্রিকেট। আসরটির ইতিহাসে বাংলাদেশ প্রথম স্বর্ণপদক পেয়েছে সে ক্রিকেট থেকেই, পুরুষ দলের কল্যাণে। মহিলা ক্রিকেট থেকে আসে রৌপ্যপদক। মহিলা কাবাডি দল দেশকে ব্রোঞ্চ পদক এনে দিয়েছে।
১৯৯০ সালে গেমসের ডিসিপ্লিন হিসেবে যুক্ত হওয়ার পর থেকে পুরুষ কাবাডি দল নিয়মিতই পদক পেয়েছে। গুয়াংজুতে দুই দশকের সে ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ে। এবার ভারত ও পাকিস্তানের গ্রুপ সঙ্গী হওয়ায় জিয়াউর রহমান-আবু সালেহ মুসাদের ঘিরে তেমন প্রত্যাশাও নেই। এ নিয়ে বিওএ মহাসচিব বলেন, ‘ভারতে প্রো-কাবাডি লিগের জমজমাট আসর হয়ে গেল। আশা করি বাংলাদেশও খেলাটির উন্নয়নে ব্যতিক্রমী কিছু করতে উদ্যোগী হবে।’
কমনওয়েলথ গেমসে ১০ ডিসিপ্লিনের মধ্যে একমাত্র শুটিং ছিল ব্যতিক্রম, ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে আবদুল্লাহেল বাকী দেশকে রূপা এনে দেন। বাকি ৯ ডিসিপ্লিনই ব্যর্থ। গেমস-পরবর্তী জরুরি সভায় বিওএ কর্মকর্তারা ৯ ডিসিপ্লিনকে এশিয়ান গেমস তালিকা থেকে ছেঁটে ফেলেন। পরবর্তীতে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদারের হস্তক্ষেপে জিমন্যাস্টিকস অন্তর্ভুক্ত করা হয়। শেষ মুহূর্তে এ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হলেও এশিয়ান অলিম্পিক সংস্থা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তা সমাধান করেছেন বিওএ মহাসচিব।
বাংলাদেশ বহরে ফেন্সিং, কারাতে, তায়কোয়ানদোর মতো ডিসিপ্লিনগুলো অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাখ্যায় শাহেদ রেজা বলেন, ‘এসএ গেমসের প্রাপ্তি এবং ঘরোয়া কার্যক্রম বিবেচনায় নিয়ে ২১ ডিসিপ্লিন বাছাই করা হয়েছিল। কমনওয়েলথে ১০ ডিসিপ্লিনে সুযোগ দেয়া হয়েছিল। সবার সমান সুযোগ নিশ্চিত করতেই এমন সিদ্ধান্ত। যারা নৈপুণ্য প্রদর্শন করবেন তাদের জন্য এক ধরনের ভাবনা, ব্যর্থদের জন্য ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চাই আমরা।’
এই প্রথম সাঁতার ও অ্যাথলেটিক্স ছাড়া এশিয়ান গেমসে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন ডিসিপ্লিন থেকে বাদ দেয়ায় অ্যাথলিটরা আগ্রহ হারাতে পারেন, এ নিয়ে বিওএ মহাসচিব, ‘এক যুগ বাংলাদেশ গেমস আয়োজিত হয়নি। দীর্ঘ বিরতির প্রভাব আমাদের ক্রীড়াঙ্গনে স্পষ্ট। বাংলাদেশ গেমস শুরু হয়েছে। যুব বাংলাদেশ গেমস আয়োজনের পরিকল্পনা চলছে। পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যেতে পারলে নতুন অ্যাথলিট উঠে আসবে।’বণিকবার্তা