Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

দুই জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর

jongiঘোষণা অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টার আগেই দুই জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করা হলো পাকিস্তানে। এই দুই জঙ্গি হলো- আকিল ইলিয়াস ডা. উসমান এবং আরশাদ মেহমুদ।

শুক্রবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব রাজ্যের ফয়সালাবাদ কারাগারে এই দুই জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

chardike-ad

ডা. উসমান আর্মি মেডিক্যাল কোরের অফিসার ছিলেন। ২০০৯ সালে পাকিস্তানের সামরিক সদরদপ্তরে হামলার মূল পরিকল্পনাকারীদের অন্যতম একজন ছিলেন তিনি। গোপনে জঙ্গি তৎপরতা চালাতেন ডা. উসমান।

আর আরশাদ মেহমুদ একজন জঙ্গিনেতা ছিলেন। দেশটির প্রাক্তন স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফকে হত্যার চেষ্টা করেন তিনি।

পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ফাঁসির ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার পর এই দুই জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করা হলো।

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ারের আর্মি পাবলিক স্কুলে তালেবান জঙ্গিদের হামলায় ১৩২ শিশুসহ ১৪১ জন নিহত হওয়ার ঘটনার দিন গত মঙ্গলবার নওয়াজ শরিফ মৃত্যুদণ্ডাদেশের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন।

এদিকে দুই জঙ্গির ফাঁসি কার্যকরের ঘোষণা আসার পর দেশজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে পাকিস্তানি প্রশাসন। বিশেষ করে রাজধানী ইসলামাবাদের নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

এই দুই জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করা ফয়সালাবাদ কারাগারসহ দেশটির সব কারাগারে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ফয়সালাবাদ পাকিস্তানের অন্যতম বাণিজ্যিক নগরী।

সামরিক বাহিনীর আন্তবিভাগীয় জনসংযোগ দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ছয় জঙ্গির ফাঁসি কার্যকরের আদেশে সই করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল রাহেল। এখন একে একে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হবে।

২০০৯ সালের ১০ অক্টোবর আর্মি সদরদপ্তরে জঙ্গি হামলায় ১১ সেনা সদস্য নিহত হন। আহত হন অনেকে। এ ঘটনায় আটক হন ডা. উসমান। মার্শাল কোটে তার বিচার হয় এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

জঙ্গিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার খবরে পাকিস্তানিদের মধ্যে স্বস্তি নেমে এসেছে। তবে আশঙ্কাও আছে। এর প্রতিশোধ নিতে হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। তবে দেশজুড়ে জঙ্গি-সন্ত্রাস নির্মূলে যে অভিযান চলছে পাকিস্তানে, তাতে করে এই মুহূর্তে হামলার আশঙ্কা কমই বলা যায়।

তথ্যসূত্র : জিও নিউজ ও ডন অনলাইন।