বিশ্বকাপ শেষ। আইপিএল শুরু হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে অংশগ্রহনকারী প্রত্যেকটি ফ্রাঞ্চাইজি তাদের প্রস্তুতি শেষ করে এনেছে প্রায়। কিন্তু হাঠৎেই বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সের সঙ্গে গণ্ডগোল বেধে গেলো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। ক্যারিবীয় স্পিনার সুনিল নারিনকে নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন না হলে আইপিএল থেকেই নাম প্রত্যাহার করার হুমকি দিয়েছে বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের দল।
গত (২০১৪ সালে) চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি২০ চলার সময় সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের জন্য সুনিল নারিনকে নিষিদ্ধ করা হয়। এমনকি ফাইনালে কলকাতার হয়ে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে এই ক্যারিবীয় বোলারকে খেলতেও দেয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত ফাইনালে কলকাতাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় ধোনির দল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিষিদ্ধ হলেও, জাতীয় দলের হয়ে যেন আবার আইসিসির নিষেধাজ্ঞার খাঁড়ায় পড়তে না হয়, সে কারণে দলের সঙ্গে গত বছরের নভেম্বরে ভারত সফরে যেতে পারেননি নারিন। এমনকি বিশ্বকাপের প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকলেও চূড়ান্ত স্কোয়াড থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন এই রহস্যময় স্পিনার।
বিশ্বকাপ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কাজ করেন নারিন এবং আইসিসির বায়ো-ম্যাকানিক্যাল পরীক্ষায়ও উতরে যান তিনি।
তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই আইসিসির বায়ো-ম্যাকানিক্যাল রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, আইপিএলে খেলতে হলে ক্যরিবীয় এই স্পিনারকে চেন্নাইয়ের শ্রী রামচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে ফের বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় দিতে হবে।
এনডিটিভির সংবাদে বলা হয়েছে, কেকেআর বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথাও ভাবছে। কেকেআরের দাবি, আইসিসির পরীক্ষায় সুনিল নারিন উতরে যাওয়ার পরও তাকে আবার নতুন কোনো পরীক্ষা বসতে বাধ্য করাটা অন্যায়। শাহরুখের দলের অভিযোগ, আইপিএল থেকে নারিনকে বাদ দেয়ার জন্যই ষড়যন্ত্র করছে বিসিসিআই। আর এমনটা করা হলে তারা এবারের আসর বর্জনও করতে পারে বলে জানিয়েছে।
এদিকে বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সভাপতি জগমোহন ডালমিয়ার কাছে এ সম্পর্কিত তথ্য পৌঁছানো হয়েছে। এ ব্যাপারে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে দলের দুই তারকা খেলোয়াড় জেমস নিশাম ও ক্রিস লিন’র ইনজুরির কারণে তাদের বিকল্প হিসেবে পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার আজহার মাহমুদ ও দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক স্পিনার ইয়োহান বোথাকে দলে নিয়েছে কেকেআর।