Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ম্যাটিসের সিউল সফরঃ উত্তর কোরিয়াকে কড়া হুঁশিয়ারি

mattis 2

উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে হুঁশিয়ার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস। অপরদিকে উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবেলায় নিরাপত্তা চুক্তির ক্ষেত্রে সিউলকে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির বিষয়ে আবারো আশ্বস্ত করেন তিনি।আজ শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়া সফর শেষে টোকিও-র উদ্দেশে যাওয়ার আগে তিনি এসব কথা বলেন।

chardike-ad

বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার পর উত্তর কোরিয়াকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের এটাই প্রথম হুঁশিয়ারি। এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এটি প্রথম বিদেশ সফর। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্ক আরও ঝালিয়ে নিতেই ম্যাটিস এ সফর করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলেও জানান জেমস ম্যাটিস। এ বছরের পরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা পদ্ধতি দক্ষিণ কোরিয়াতেও স্থাপনের কথা জানিয়েছেন তিনি।

এরআগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার ইস্যুতে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবেলায় আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। নির্বাচনী প্রচারণাকালে ট্রাম্প মার্কিন সামরিক সহযোগিতা নেয়ার জন্য যথেষ্ট অর্থ না দেয়ায় দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানকে অভিযুক্ত করেন। ওই সময় তিনি আরো বলেন, তাদেরকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের সুযোগ দেয়া হতে পারে। সেই সময়ে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া উভয় দেশই ট্রাম্পের এই অভিযোগ প্রত্যাখান করেছিলেন।

ম্যাটিস আজ শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থান করে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী তোমোমি ইনাদার সঙ্গে আলোচনার জন্য টোকিও সফরে যান। এ সফরকালে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যান্য কর্মকর্তার মধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হ্যান মিন-কো’র সঙ্গে বৈঠক করেন।

পেন্টাগন জানায়, এ সফরে জাপান ও রিপাবলিক অব কোরিয়ার সঙ্গে আমাদের স্থায়ী চুক্তির ব্যাপারে করা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির এবং ইউএস-জাপান-রিপাবলিক অব কোরিয়ার নিরাপত্তা সহযোগিতা আরো জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে।

ম্যাটিস সাংবাদিকদের বলেন, তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনের পরিকল্পনা এবং উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেছেন।

উত্তর কোরিয়া পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা আন্ত:মহাদেশীয় নতুন একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা যেকোন সময় চালাতে প্রস্তুত রয়েছে। দেশটির ক্রমবর্ধমান এ হুমকির মধ্যে তিনি এ সফরে এলেন।

জাতিসংঘ ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উত্তর কোরিয়া প্রায়ই কার্যকর পারমাণিক ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। ফলে ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে থাকতে হয় দক্ষিণ কোরিয়াকে।