লর্ডসে তৃতীয় টেস্টের শেষ ইনিংসে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল মাত্র ১৯৩ রান। যদিও উইকেটে কিছুটা অসমান বাউন্স ও হালকা মুভমেন্ট ছিল, তবু সেটা বড় কোনো চ্যালেঞ্জ হওয়ার কথা নয়। অথচ সেই সহজ লক্ষ্যের পথেই একের পর এক উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৭০ রানেই গুটিয়ে গেলো ভারত। ফলে ২২ রানে হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো শুভমান গিলের দলকে।
সোমবার (১৪ জুলাই) ম্যাচের শেষ দিনে একমাত্র রবীন্দ্র জাদেজা ছিলেন দৃঢ়চেতা। কিন্তু তার ৬১ রানের লড়াইও হার বাঁচাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত একপ্রকার একাই লড়ে গেছেন, কিন্তু জয় আনতে পারেননি।
চতুর্থ দিনে ভারতের অন্যতম বড় প্রাপ্তি ছিল ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৯২ রানে থামিয়ে দেওয়া। মোহাম্মদ সিরাজ, ওয়াশিংটন সুন্দর এবং জশপ্রীত বুমরাহর দারুণ বোলিংয়ে ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপ ধসে পড়ে। প্রথম ইনিংসে ৩৮৭ রান করা ভারতীয় দল, যারা আগের দুই টেস্টে ৮০০ ও ৭০০-র মতো রান তুলেছে, তাদের কাছে ১৯৩ রান কোনো বড় বিষয় ছিল না—তবুও ব্যাটিং ভেঙে পড়ে।
জয়ের লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেই ধাক্কা খায় ভারত। অফস্টাম্পের বাইরে জোফরা আর্চারের বাউন্সারে শট খেলতে গিয়ে শূন্য রানে আউট হন যশস্বী জয়সওয়াল। শুরুটা নড়বড়ে ছিল লোকেশ রাহুলেরও। ৫ রানে সুযোগ পেলেও ১৪ রানে গিয়ে ফিরে যান করুন নায়ার। এরপর শুভমান গিলও বেশিক্ষণ টেকেননি।
নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা আকাশ দীপ ১ রানেই ফিরে গেলে দিনের শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৫৮।
পঞ্চম দিনে ভারতীয়দের কাঁধে ছিল রাহুল ও ঋষভ পান্থ। কিন্তু আর্চারের এক বল বুঝে উঠতে না পেরে মাত্র ৯ রানে বোল্ড হন পান্থ। রাহুল ফিরলেন ৩৯ রানে। তার বিদায়ের পর ভারতের আশাও ফুরিয়ে যায়।
ওয়াশিংটন সুন্দর রান না করেই আউট হন, নীতীশ রেড্ডিও আউট হন লাঞ্চের ঠিক আগে। এরপর জাদেজা চেষ্টা করেন বুমরাহকে সাথে নিয়ে লম্বা জুটি গড়তে। বুমরাহ কিছুক্ষণ টিকে থাকলেও স্টোকসের বলে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। সিরাজেরও বিদায় হয় দুর্বল শটে।
১৭০ রানে থেমে যায় ভারতের ইনিংস। আর্চার ৩ উইকেট, স্টোকস ও কার্স মিলিয়ে বাকিটা সামলে নেন। এই জয়ে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।





































