
প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ বলেছেন, প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি করে ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই ডেটা ওয়ালেটে নাগরিকের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতির ভিত্তিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ওই তথ্য ব্যবহার করতে পারবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর। যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টার অপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, সরকার ইতোমধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স এই তিনটি আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে। যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের মূল স্তম্ভ হবে।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়। এসব আলোচনায় সরকারি প্রতিষ্ঠান, বিশ্বব্যাংক ও ইউএনডিপির মতো আন্তর্জাতিক সংস্থা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং আইন ও প্রযুক্তি খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের সভাপতি জ্যঁ বোকু এবং বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি সহ্য করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
খবর দ্য হিন্দুর।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, বাংলাদেশের নেতারা যদি ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিতে থাকেন, তাহলে দিল্লি আর বেশি দিন চুপ থাকবে না।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে এক বছর ধরে এ ধরনের বক্তব্য দেয়া হচ্ছে, যা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়, এ ধরনের এই ধরনের চিন্তাভাবনা সম্পূর্ণ ভুল।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে আলাদা করে সেই দেশের সঙ্গে যুক্ত করা উচিত। এরকম কিছু কল্পনা করাও ভুল।’
ভারত একটি বড় দেশ, পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি, এ কথা উল্লেখ করে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ভুল মানসিকতা তৈরি হয়েছে। তার মন্তব্য, ‘আমাদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়া দরকার যে ভারতের বিরুদ্ধে এমন আচরণ হলে আমরা চুপ করে থাকব না।’
এর এক দিন আগে বাংলাদেশের ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমি ভারতকে বলতে চাই, আপনারা যদি আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব ও মানবাধিকারে বিশ্বাস না করা লোকদের আশ্রয় দিয়ে যান, তাহলে আমরাও ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দেব এবং উত্তর–পূর্বাঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে দেব’।







































