Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

প্রধানমন্ত্রীকে ফোন বান কি মুনের

Hasina_moon

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুক্রবার দুপুরে ফোন করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন।

chardike-ad

আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বিএনপিকে নাশকতা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড পরিহার করে গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসার পরামর্শ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ সময় শুক্রবার বেলা ১টা ৪৮ মিনিটে জাতিসংঘ মহাসচিবের ফোন কল আসে। বান কি মুন ও শেখ হাসিনার মধ্যে প্রায় ১৪ মিনিট কথা হয়।

এ সময় জাতিসংঘ মহাসচিব জানান, সাম্প্রাতিক সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কিছু অনিয়ম হয়েছে বলে তাকে জানানো হয়েছে। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রাণহানি ছাড়া এই প্রথম নির্বাচন হলো। নির্বাচনে জিতবে না বলে, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই ভোট বর্জন করেছে বিএনপি। তিন ঘণ্টা পর বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেও যে ভোট দলটির সমর্থিত প্রার্থীরা পেয়েছেন তাতে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই।

প্রধানমন্ত্রী গত তিন মাসে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার কথা তুলে ধরে জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানান, তার সরকার জনগণকে শান্তি ও নিরাপত্তা দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। একই সঙ্গে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করে যাচ্ছে।

বান কি মুন প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, এমডিজি অর্জন, শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। গণতন্ত্র সুসংহত করতে আওয়ামী লীগ সরকারের নিরলস কাজের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি স্পষ্ট ভাষায় সন্ত্রাস ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানান।

তিন সিটিতেই সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয়েছে বলেও জাতিসংঘ মহাসচিবকে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দৃঢ় ভূমিকা পালন করেছে বলেই দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো প্রাণহানি ছাড়া নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব হলো।

নির্বাচনে ৪৪ শতাংশ ভোট পড়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ মহাসচিবকে বলেন, ভোটের সংখ্যা অস্বাভাবিক ছিল না। সুতরাং ভোট নিয়ে প্রশ্ন তোলোর সুযোগ নেই।

নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঁচ শতাংশ অনিয়মের অভিযোগ এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই ভোট বাতিল করেই ফল ঘোষণা দেয় কমিশন।

শামীম চৌধুরী জানান, জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনালাপে বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসা স্বস্তিকর ছিল। কিন্তু মাঝপথে সরে যাওয়া দুঃখজনক। এজন্য উদ্বেগও প্রকাশ করেন বান কি মুন।