Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

চীনে চালু হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘সমুদ্র সেতু’

longest-sea-bridgeনদীর উপর সেতু তো অহরহই হচ্ছে কিন্তু সাগরের উপর আস্ত একটা সেতু! কি বিশ্বাস হচ্ছে না? হ্যাঁ, অবিশ্বাস্য এই কাজটিই করে দেখিয়েছে চীন। দক্ষিন চীন সাগরে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সেতু নির্মাণ করে সারা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে দেশটি।

এ বছরের শেষের দিকেই খুলে দেয়া হবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্র সেতু। ৭ বছর কাজ করার পর প্রায় শেষর দিকে এর নির্মাণ পক্রিয়া। এটি চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর কিংডাওকে জিয়াওঝো উপসারগরের হিয়াংদো উপকূলের সাথে সংযুক্ত করেছে।

chardike-ad

২০১১ সালে কাজ শুরু হওয়া সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ৫৫ কিলোমিটার বা ৩৪ মাইল। যা ডোভার থেকে ক্যালাই পর্যন্ত দূরত্বের চেয়ে ১৪ মাইল বেশি। এই সেতু নির্মাণে চীন খরচ করছে প্রায় ১১২ বিলিয়ন ডলার। সেতু তৈরির পাশাপাশি সমুদ্রের নীচ দিয়ে টানেল তৈরির কাজও চলছে পুরোদমে। এই টানেলটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় পঁচিশ মাইল নিচে অবস্থিত। এটি তৈরি করা হচ্ছে বিশেষ লাইন ও ক্যাবলের জন্য।

সেতুর ব্যবস্থাপনার পরিচালক জহু ইয়ংগ্লিং বলেন, সেতুটি এই বছররে শেষ দিকে খোলা হবে। এটি তৈরিতে চার লাখ ২০ হাজার ২০০ টন ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে, যা দিয়ে ৬০টি আইফেল টাওয়ার বানানো সম্ভব। সেতুটি তৈরিতে খরচ হচ্ছে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার।’

জানা যায়, সেতুটি নির্মাণ শুরু হওয়ার পর থেকে দূর্ঘটনায় সাত জন শ্রমিক মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন ১২৯ জন। এদের বেশির ভাগই সর্বোচ্চ উচ্চতা থেকে পিছলে পড়েছিলেন। প্রকল্পটির প্রধান প্রকৌশলী ইয়িন হেকিং বলেন, ‘অভিজ্ঞতা অভাবের কারণে সমুদ্রে প্রথম নল ঢুকতে আমাদের ৯৬ ঘন্টা সময় লেগেছিল।’

সেতুটি খোলা হলে দৈনিক প্রায় ত্রিশ হাজার গাড়ি চলাচল করবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা। সেতুটি ব্যবহার করে কংডাউ থেকে হুয়াংডাও পর্যন্ত যেতে প্রায় ৩০ মিনিট সময় লাগবে। যেটি যেতে আগে ৩ ঘন্টার বেশি সময় লাগতো।