সিউল, ২৮ অক্টোবর, ২০১৩:
ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড কালচারাল হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে কোরিয়ান খাবার কিমছি। কোরিয়ান সরকারের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বাঁধাকপির মশলাযুক্ত এই মুখরোচক খাবারটি কোরিয়ানদের পাশাপাশি বিদেশীদের কাছেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করতে সক্ষম হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে কোরিয়ান ইংরেজী দৈনিক দ্য কোরিয়া হেরাল্ড বলছে, কিমছি’র প্রস্তুতি ও সংরক্ষণের ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি কিমজাংকে কালচারাল হেরিটেজ ঘোষণার জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত করা হয়েছে। চূড়ান্ত স্বীকৃতির জন্য একে অন্য আরও ২২টি আবেদনের সাথে ডিসেম্বরে আজারবাইজানে অনুষ্ঠেয় আন্তঃসরকার বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। চলতি বছর এই স্বীকৃতির জন্য মোট আবেদন জমা পড়েছিল ৩১টি।
প্রাথমিক নির্বাচক কমিটি কিমজাং সম্পর্কে তাঁদের প্রতিবেদনে লিখেছে “কিমছি প্রস্তুতির এই ঐতিহ্যবাহী প্রণালী কোরিয়ার প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জাতিসত্তার লালন ও সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি চর্চায় অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে।”
চূড়ান্ত স্বীকৃতি মিললে কিমছি হবে ইউনেস্কোর এই তালিকায় ১৬তম কোরিয়ান সংযোজন। ইতোমধ্যেই ওয়ার্ল্ড কালচারাল হেরিটেজ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে কোরিয়ান রাজপরিবারগুলোর পূর্বপুরুষদের স্মরণে বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পারকাশন বাদ্যযন্ত্রের পরিবেশনা পানসোরি ও পাঁচ হাজার বছরের পুরনো নাচ খাংখাংসালে।