Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কুয়েত ছাড়তে হবে ১৫ লাখ প্রবাসীকে?

kuwaitকুয়েত সরকার প্রবাসীদের সংখ্যা সীমিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। উদ্যোগটি এখন গুরুত্বপূর্ণ একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে। বলা হচ্ছে, কুয়েত থেকে ১৫ লাখ প্রবাসীকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। আগামী সাত বছরে দেশটির সরকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।

প্রবাসীর সংখ্যা কমাতে এবং কর্মসংস্থান বাজার নিজেদের দখলে নেয়ার অভিপ্রায় থেকে সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি অঞ্চল এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। এবার তাতে কুয়েতও যোগ দিচ্ছে।

chardike-ad

কুয়েত আশা করছে, এ উদ্যোগের ফলে আগামী ৭ বছরে ১৫ লাখ প্রবাসী তাদের নিজেদের দেশে ফেরত যাবে। ওই জায়গায় নিজ দেশের নাগরিকদের চাকরির বন্দোবস্ত করবে সরকার।

আল কাবাস ও দ্য কুয়েত টাইমের বরাতে একটি সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, কুয়েতি ও প্রবাসীদের মধ্যে একটি ভারসাম্য অবস্থান আনতেই এই রোডম্যাপ শিগগির বাস্তবায়ন করা হবে।

পাবলিক অথরিটি ফর সিভিল অথরিটির প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, কুয়েতে এখন প্রবাসীর সংখ্যা প্রায় ৩৩ লাখ। যেখানে কুয়েতের নিজস্ব জনসংখ্যা মাত্র ১৪ লাখ। অর্থাৎ নিজ জনসংখ্যার চেয়ে প্রবাসীর সংখ্যা সেখানে দ্বিগুণের বেশি।

দেশটির সরকারের মন্ত্রীরা সম্প্রতি এই অথরিটির কাছে প্রস্তাব করেছে, কুয়েতের জনগণ ও প্রবাসীদের সংখ্যা ফিফটি ফিফটি করতে হবে। আর এজন্য ১৫ লাখের বেশি প্রবাসীকে কুয়েত থেকে তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। আগামী ৭ বছরের এখানে মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশের বেশি প্রবাসী থাকতে পারবে না।

বর্তমানে কুয়েতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির যে হার, তাতে আশা করা হচ্ছে প্রস্তাবিত প্রকল্প অনুসারে আগামী ৭ বছর পর জনসংখ্যা হবে ১৭ লাখ। এর অর্থ ৭ বছর পর কুয়েতে প্রবাসীদের সংখ্যাও সমান হবে। এই লক্ষ্য অর্জন করতে যদি দেশটিতে আর কোনও প্রবাসী নাও প্রবেশ করে, তাও অন্তত ১৫ লাখ প্রবাসী কমাতে হবে।

হুমকির মুখে প্রবাসী শ্রমিকরা?: কুয়েতের পরিকল্পনা অনুযায়ী, নিজস্ব নাগরিকদের ২৫ শতাংশের বেশি হতে পারবে না প্রবাসীর সংখ্যা। সেটা যদি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হয়, তবে ভারতের অন্তত ৬ লাখ এবং মিশরের ৩ লাখ মানুষকে তাদের দেশে ফেরতে যেতে হবে। এই দুই দেশের জনসংখ্যা কুয়েতে সবচেয়ে বেশি। আছে বাংলাদেশিও।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি বছর ১০ শতাংশ হারে প্রবাসী গোষ্ঠীকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। আর তাদের কাজের জায়গা দখল করবে কুয়েতের মানুষ।
এদিকে পরিকল্পনা নিয়েছে সৌদি আরবও। দেশটি ১০ লাখ প্রবাসীকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। যা এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।

সৌজন্যে- আরটিভি অনলাইন