
সংগৃহীত ছবি
লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে এবং দেশটির জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকারের পূর্ণ সহযোগিতায় আরও ৩১০ জন বিপদগ্রস্ত বাংলাদেশিকে দেশে ফেরানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) এই বিশেষ প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে ত্রিপোলিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
প্রত্যাবাসিতদের মধ্যে মিসরাতা থেকে ১৫১ জন এবং ত্রিপোলি থেকে ১৫৯ জন বাংলাদেশি ছিলেন। লিবিয়া সরকারের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় গত ৩ ডিসেম্বর মিসরাতা থেকে অভিবাসীদের ত্রিপোলির সরকারি অভ্যর্থনা কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাদের খাবার, চিকিৎসা ও সবধরনের সহায়তা দেওয়া হয়।
দূতাবাস জানায়, প্রত্যাবাসিতরা শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ফ্লাই ওইয়া এয়ারলাইন্সের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এটি লিবিয়া সরকারের সহায়তায় পরিচালিত চতুর্থ বিশেষ চার্টার ফ্লাইট।
ত্রিপোলির অভ্যর্থনা কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে অভিবাসীদের বিদায় জানান লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার। তার সঙ্গে ছিলেন প্রথম সচিব (শ্রম) মো. রাসেল মিয়া এবং দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
রাষ্ট্রদূত অভিবাসীদের উদ্দেশে বলেন, “লিবিয়ায় বিপদগ্রস্ত ও আটক বাংলাদেশিদের নিরাপদে দেশে ফেরাতে দূতাবাস নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে ইচ্ছুকদের সম্মানজনক ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করছি।”
তিনি আরও জানান, লিবিয়া সরকারের সহযোগিতায় গত অক্টোবরেই তিনটি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে। আজকের ফ্লাইটসহ মোট ১ হাজার ২৩৮ জন বিপদগ্রস্ত বাংলাদেশিকে দেশে ফেরা সম্ভব হয়েছে। দূতাবাসের উদ্যোগে এসব অভিবাসীর জেল-জরিমানাও মওকুফ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত খায়রুল বাশার অভিবাসীদের অনিয়মিত পথে বিদেশযাত্রার ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে বলেন, “অনিয়মিত অভিবাসন শুধু আর্থিক ক্ষতিই আনে না, দেশের সুনামও নষ্ট করে। দেশে ফিরে আপনারা এই অভিজ্ঞতা অন্যদের জানাবেন এবং পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নেবেন।”
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের জুন থেকে এখন পর্যন্ত লিবিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচেষ্টায় মোট ৭ হাজার ৮২৯ জন বাংলাদেশিকে নিরাপদে দেশে ফেরানো হয়েছে।









































