Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

কুয়েতে প্রবাসী এনামুলের শখের সবজি বাগান

kuwait-enamulব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীননগর উপজেলার প্রকৃতি-প্রেমী এনামুল হক ভুঁইয়া। তিনি ২০ বছর আগে মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ কুয়েতে পাড়ি জমান। একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করেন। দেশের থাকা অবস্থায় তার শাক-সবজিসহ কৃষিকাজের প্রতি অন্যরকম আগ্রহ ছিল। বিদেশেও থেমে থাকতে পারেনি।

নাড়া দিয়ে উঠে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা। এনামুল তার কফিলকে (মালিক) বুঝিয়ে উদ্যোগ দেন কুয়েতেও সবজির বাগান করবে। কিন্তু কোথায় কিভাবে ভাবতে থাকেন। পরিশেষে অফিসের ছাদে গ্রিন হাউস তৈরি করেন। কোম্পানির কাজের ফাঁকে ফাঁকে পরিচর্যা করেন।

chardike-ad

kuwait-enamulতার গ্রিন হাউসে বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ফল রয়েছে। শশাসহ, চার রকমের টমেটো, দুই জাতের মিষ্টি আলু, কাঁচা মরিচ কয়েক প্রকারের। এ ছাড়া এসপি কাম, ৯ জাতের পুদিনা পাতা, বেগুন ঢেঁড়স, লাউ, প্যারিসের মিষ্টি কুমড়া, কাঁকরোল, বরবটি, বড়ই গাছ, কমলা, আঙুর ও স্টবেরিসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক সবজি ও ফলের চাষ হয় হাউসটিতে।

তিনি ২০১৮ সালের আগস্ট মাস থেকে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে তার শখের সবজি বাগান বেশ ভালো চলছে বলেও জানান। বলেন, আমার কফিলের প্রকৃতির প্রতি অন্যরকম ভালোবাসা। বাগানটিতে বর্তমানে চার হাজার দিনারের মতো খরচ হয়েছে। বছরে দু’বার ছুটিতে দেশে যাই। যতদিন দেশে থাকি ততদিন সবজি বাগানের যত্ন নেয়ার কেউ থাকে না।

kuwait-enamulএনামুল বলেন, এই শখের গ্রিন হাউস নিয়ে অন্যরকম পরিকল্পনা রয়েছে। মালিক যদি ঠিকমতো সহযোগিতা করে তাহলে আরও বৃহৎ পরিসরে করব। আশা করি এটা লাভবান প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। একার পক্ষে তো সব এতকিছু সামলানো সম্ভব নয়। মালিকের কাজ শেষ করে বাসায় এসে যতটুকু সময় পাই ততটুকুই কাজ করি।

তিনি বলেন, প্রবাসে আর কত বছর কাজ করবো, একেবারে দেশে গিয়ে নতুন করে সবজি চাষের ইচ্ছা আছে। একটা ফার্ম হাউস করে সেখান থেকে যা আয় হবে তাই দিয়েই চলবো। পরবাস জীবন আর ভালো লাগে না। এ ছাড়া কৃষি, গবাদি পশু, হাঁস, মুরগিসহ খামার করার পরিকল্পনা আছে যেখানে অন্তত কিছু লোকের হলেও কর্মসংস্থানে ব্যবস্থা হবে।

kuwait-enamul৭/৮ লাখ টাকা খরচ করে কুয়েতে না এসে শিক্ষিত তরুণরা যদি প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে এই ধরনের কাজে এগিয়ে আসত তাহলে বিদেশের থেকে কম সময়ে বেশি আয় করতে পারতো। এখানে আশার পর আকামা, চাকরি, বেতন, থাকা খাওয়া নানা ধরনের হতাশায় ভোগে। এত টাকা ঋণ করে এসে ফিরে যাওয়ার উপায় থাকে না সহ্য করে যায় শত কষ্ট।

সৌজন্যে- জাগো নিউজ