Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

karamনিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের (এনওয়াইপিডি) নির্বাহী কর্মকর্তা ‘ক্যাপ্টেন’ হলেন সিলেটের কারাম চৌধুরী। স্থানীয় সময় বুধবার সকালে নিউইয়র্ক পুলিশের সদর দপ্তর ‘ওয়ান পুলিশ প্লাজায় আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে তাকে ক্যাপ্টেন পদোন্নতির সার্টিফিকেট হস্তান্তর করেন পুলিশ কমিশনার জেমস পি. ও’নিল।

এদিন সার্জেন্ট হিসাবে পদোন্নতি পেয়েছেন আরেক বাংলাদেশি আমেরিকান সাইদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্ত্রী বেগম চৌধুরী কারাম চৌধুরীকে ক্যাপ্টেন ব্যাজ পরিয়ে দেন। এ সময় কারাম চৌধুরী মা, খালাতো ভাই ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

chardike-ad

পদোন্নতি অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি লেফটেন্যান্ট সুজাত খান, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সার্জেন্ট সাঈদ সুমন, সাধারণ সম্পাদক সার্জেন্ট হুমায়ূন কবীর, লেফটেন্যান্ট প্রিন্স আলম, ডিটেকটিভ জামিল সারোয়ার জনি, সার্জেন্ট সাজিদুল ইসলাম, অফিসার মামুন সরদার, রাসেক মালিক, তাহের, পলাশ, শামীম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কারাম চৌধুরী বৃহত্তর সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার তিলাগাঁও গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন চৌধুরীর একমাত্র পুত্র কারাম চৌধুরী ১৯৯৩ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। ২০০৫ সালে যোগ দেন নিউইয়র্ক পুলিশের অফিসার পদে।

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের ক্যাপ্টেন পদে কারাম চৌধুরীসহ তিনজন বাংলাদেশি আমেরিকান পদোন্নতি পেলেন। এর আগে সিলেটের আরেক সন্তান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এবং পারোল আহমেদ ক্যাপ্টেন হিসাবে পদোন্নতি লাভ করেন। বাংলাদেশি আমেরিকান মিলাদ খান ক্যাপ্টেন হিসাবে পদোন্নতির অপেক্ষায় রয়েছেন।

নিউইয়র্ক পুলিশে বর্তমানে সাড়ে তিনশ পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন ক্যাপ্টেন, ১৫ জন লেফটেন্যান্ট, ২৮ জন সার্জেন্ট ও অন্যরা অফিসার পদে কর্মরর্ত। এ ছাড়া ট্রাফিক বিভাগে ম্যানেজার ও সুপাইভাইজারসহ এজেন্ট হিসাবে কর্মরত রয়েছেন আরো সহস্রাধিক।