সৌদি আরবে নির্যাতিত নারীকর্মী সুমি আক্তার সরকারের হস্তক্ষেপে অবশেষে দেশে ফিরেছেন। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৭টা এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান তিনি।
ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম বিমানবন্দরে সুমিকে গ্রহণ করেন। এ সময় প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপস্থিত থেকে বিমানবন্দরের আনুষ্ঠিকতা সম্পাদনে সহযোগিতা করেন।
তবে বিমানবন্দরে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে সুমিকে কথা বলতে দেয়া হয়নি। এমনকি সুমীর স্বামী বিমানবন্দরে এলেও তার সঙ্গেও দেখা করতে দেয়া হয়নি। বরং কঠোর গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে ওয়েজ অর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সুমিকে নিয়ে পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে একটি টিম। সেখানে সুমিকে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে তার বাবা- মার কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সৌদি আরবে পাশবিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশে ফেরার আকুতি জানায় সৌদি প্রবাসী সুমি আক্তার। সুমি আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকার নুরুল ইসলামের স্ত্রী। সুমির আকুতির ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর নুরুল ইসলাম রাজধানীর পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
ভিডিওতে সুমি বলেন, ‘ওরা আমারে মাইরা ফালাইব, আমারে দেশে ফিরাইয়া নিয়া যান। আমি আমার সন্তান ও পরিবারের কাছে ফিরতে চাই। আমাকে আমার পরিবারের কাছে নিয়ে যান। আর কিছু দিন থাকলে আমি মরে যাব।’ পরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে আনা হলো সুমিকে।