সম্প্রতি বহুল বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করেছে ভারত। এ বিলের প্রতিবাদে উত্তাল আসামসহ ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলো। শুধু মুসলমান বাদে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে যাওয়া হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ভারতে বসবাস করার অধিকার সুরক্ষিত করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে মোদি সরকার।
অন্যদিকে, বিলটির প্রতিবাদে আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তারা কোনোভাবেই ভারতকে বাংলাদেশের চারণভূমি করতে দেবেন না। এই পরিস্থিতিতে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে সাতজন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। গ্রেফতারের ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পালঘর শহরে। বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদপ্রতিদিন নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয়দের দাবি, বাংলাদেশের বহু নাগরিক কাজের সূত্রে ভারতে প্রবেশ করে আর ফিরে যায় না। সেজন্য মাঝে মধ্যে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় মহারাষ্ট্র পুলিশ। কয়েকদিন আগে তাদের কাছে খবর যায়, পালঘর এলাকায় কিছু বাংলাদেশি নাগরিক অবৈধভাবে বসবাস করছে। তাদের কাছে কোনো কাগজপত্র নেই। এরপরই পুলিশের একটি দল তাদের সন্ধানে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায়। বৃহস্পতিবারের ওই অভিযানে সাতজন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে কথাবার্তায় অসঙ্গতি পেয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার রাজ্যসভায় ১২৫-৯৯ ভোটে পাস হয়েছে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধন বিল। এর আগে গত সোমবার বিলটি পাস হয়েছিল লোকসভায়। ১৯৫৫ সালের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইনে এই সংশোধনের ফলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে চলে আসা হিন্দু, শিখ, খ্রিষ্টান, জৈন, পারসি ও বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন।
এই বিলকে কেন্দ্র করে আসাম ও ত্রিপুরা-দুই রাজ্যে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কারফিউ ভেঙে বের হওয়া বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ। সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, কয়েক দিনে বিক্ষোভে ২০ থেকে ৩০ জন আহত হয়েছেন।