Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

নতুন বিপাকে সৌদি থেকে ফিরতে চাওয়া অবৈধ বাংলাদেশিরা

saudi-probashiসৌদি আরবে অবৈধ প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাধারণ ক্ষমায় বিনামূল্যে দেশে ফেরার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাস। রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ফলে অবৈধ প্রবাসী বাংলাদেশিদের এখন থেকে প্রবাসী সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে দেশে ফিরতে হবে।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রবাসীরা। যদিও দূতাবাস বলছে, প্রবাসী সেবা কেন্দ্রগুলো আউটসোর্সিং কোম্পানির আওতাধীন হলেও দূতাবাসের তত্ত্বাবধানেই এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শও দিয়েছে দূতাবাস।

chardike-ad

সৌদি আরবে কাজের বা ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় অবৈধ হয়ে পড়া কর্মীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। ফলে বৈধ কাগজপত্র না থাকা বাংলাদেশিদের দেশে ফেরার সুযোগ সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ দূতাবাস শুরুতে এসব প্রবাসীদের বিনামূল্যে দেশে ফেরার সুযোগ দিলেও হঠাৎ করেই রোববার এ কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইডিসির সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে এখন দেশে ফেরার কার্যক্রম চালাতে হবে এসব প্রবাসীদের। এর জন্য খরচ কত হবে সেটিও দূতাবাস এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেয়নি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জনপ্রতি এই খরচ ২০ রিয়াল পর্যন্ত হতে পারে।

বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, বর্তমানে যে জায়গায় বাংলাদেশ দূতাবাস রয়েছে সেটি সৌদির কূটনৈতিক এলাকায়, সেখানে সর্বসাধারণের চলাচলে বিধি নিষেধ রয়েছে। কর্মদিবস ছাড়া এবং অফিস সময়ের পর সেখানে কেউ যেতে পারেন না।

সম্প্রতি দেশে ফেরার সুযোগ নিতে দূতাবাসে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশির ভিড়ে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়। বিষয়টি নিয়ে সৌদি সরকার কড়াকড়ি আরোপ করায় এ কাজটি একটি বেসরকারি কোম্পানিকে দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ দূতাবাস রিয়াদ শ্রমকল্যাণ উইং কাউন্সিলর মো. মেহেদী হাসান বলেন, দূতাবাসে এত ভিড় হচ্ছে, তাই সার্ভিসটি বন্ধ করে দিতে হয়েছে।

এদিকে বর্তমানে যে ইডিসি বা প্রবাসী সেবা কেন্দ্র রয়েছে সেটির সেবা এবং বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রবাসীরা। তাদের দাবি, এই সেবা কেন্দ্র প্রবাসীদের সেবা দেয়ার জন্য সক্ষম নয়। সব হারিয়ে দেশে ফেরা মানুষগেুলোর কাছ থেকে তারা অতিরিক্ত অর্থ আদায় করতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন।

দূতাবাসের ফেসবুক পেজে শেয়ার করা নোটিশের কমেন্ট বক্সে মো. ইসরাফিল কচি নামে একজন প্রবাসী লিখেছেন, ‘সেবার নামে পকেট কাটা শুরু হয়ে গেছে। …অবৈধ লোকগুলো এমনি আছে বিপদে, কেউ কেউ ঠিক মত তিনবেলা খেতেও পারে না, তার মধ্যে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা।’

নাফিজুল ইমদাদ নাজমুল নামে আরও একজন প্রবাসী দূতাবাসকে কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘প্রথমে করলেন ফ্রিতে, এখন দেখতেছেন অনেক মানুষ ফিরতে প্রস্তুত, তখন ফি নিচ্ছেন। ১০ রিয়াল করে নিলেও হাজার হাজার রিয়াল জমবে পকেটে।’