Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

floraদেশে করোনাভাইরাসে নতুন করে আরও ৯৪ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। এতে দেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২৪ জনে। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ছয়জন। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে।

শুক্রবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইন বুলেটিন উপস্থাপনকালে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা। নিজের বাসা থেকে যুক্ত হন রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

chardike-ad

বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ২৯৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ১ হাজার ১৮৪টি। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭ হাজার ৩৫৯টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় ৯৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ঢাকায় শনাক্ত হয়েছেন ৩৭ জন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নারায়ণগঞ্জে শনাক্ত হয়েছেন ১৬ জন। নতুন রোগীদের মধ্যে ৬৯ জন পুরুষ, ২৫ জন নারী। করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪২৪।

আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ছয়জন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭-এ। যারা মারা গেছেন, তাদের তিনজন রাজধানী ঢাকার, দুজন নারায়ণগঞ্জের এবং একজন পটুয়াখালীর ছিলেন।

গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে বৈশ্বিক মহামারিতে পরিণত করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত প্রায় সোয়া ১৬ লাখের বেশি। মারা গেছেন প্রায় ৯৬ হাজার মানুষ। তবে সাড়ে ৩ লাখের মতো রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও গত ক’দিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা। সবশেষ হিসাবে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪২৪। মারা গেছেন ২৭ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৩ জন।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে; যার মূলে রয়েছে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। মানুষকে ঘরে রাখতে রাজপথের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ।