উত্তর কোরিয়ায় করোনাভাইরাসের হুমকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দেশটিকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তার জবাবে এই সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
চীনের সরকারি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে চীনের সফলতার জন্য প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়েকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি লিখেছেন কিম।
উত্তর কোরিয়ার সরকার সেদেশে এখনও একজন করোনা রোগী পাওয়া যায়নি বলে দাবি করে আসছে। যদিও বিশ্লেষকরা উত্তর কোরিয়ার এই দাবি নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে বলেছেন, দেশটিতে করোনার প্রকোপ শুরু হয়ে থাকতে পারে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর উত্তর কোরিয়া প্রথম দেশ হিসেবে গত জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। এছাড়া দেশটিতে পর্যটক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এই দেশটিতে করোনার ছোটখাটো সংক্রমণ শুরু হলে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
করোনা প্রাদুর্ভাবের সময় কিম জং উনের সমর্থনের উচ্চ প্রশংসা করে উত্তর কোরিয়ায় মহামারি এবং দেশটির জনগণের স্বাস্থ্যপরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শি জিনিপিং। একই সঙ্গে করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধের জন্য আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে উত্তর কোরিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শি বলেছেন, কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়াকে চীন তার সাধ্য অনুযায়ী সহায়তা অব্যাহত রাখবে। এর আগে, শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যমে নজিরবিহীন করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সফল হওয়ার জন্য চীনের প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়ে বার্তা দেন কিম জং উন।
উত্তর কোরিয়ার এই নেতাকে সম্প্রতি ২০ দিন জনসম্মুখে আসতে দেখা যায়নি; যা বিশ্ব গণমাধ্যমে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জনের জন্ম দেয়। অনেক গণমাধ্যম কিম জং উন হার্টের অপারেশন করেছেন বলে খবর দেয়। মার্কিন বেশ কিছু গণমাধ্যমে কিমের মৃত্যুর গুজবও প্রকাশিত হয়।
কিন্তু সব জল্পনা উড়িয়ে গত ২ মে দীর্ঘদিন পর জনসম্মুখে আসেন উত্তর কোরিয়ার এই নেতা। বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা বলেছে, কিমের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে যে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল তার কোনও সত্যতা নেই।
সূত্র: বিবিসি।