Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ইপিএস শ্রমিকদের জন্য চাকরি পরিবর্তনের নতুন নিয়ম

ডেস্ক রিপোর্টঃ এতদিন পর্যন্ত চাকরি পরিবর্তনের জন্য আবেদনকারী বিদেশি শ্রমিকরা(E9)জব সেন্টার হতে শ্রমিকপ্রার্থী কোম্পানির তালিকা পেয়ে বিভিন্ন শর্ত তুলনা করে কোম্পানি পছন্দ করার সুযোগ ছিল। তবে ১লা আগস্ট ২০১২ থেকে নিয়োগদাতাদেরকে চাকরিপ্রার্থী শ্রমিকের তালিকা দেয়া হবে, শ্রমিকদেরকে কোম্পানির তালিকা দেয়া হবে না। এ ব্যাপারে কর্মস্থল (কোম্পানি) পরিবর্তনের জন্য আবেদনকারী শ্রমিকগন নিম্নোল্লিখিত বিষয়গুলো ভালো করে জেনে রাখা প্রয়োজন যাতে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কর্মস্থল পরিবর্তনে ব্যার্থ হয়ে কোরিয়া ত্যাগ করতে না হয়।

উল্লেখ্য, চাকরির মেয়াদ ৪বছর১০মাস (বা ৬বছর) এর ভেতর কর্মস্থল পরিবর্তন না করে কৃষি ও পশুপালন শিল্প, ফিশারি, ক্ষুদ্র ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পে কাজ করে থাকলে (কর্মস্থল পরিবর্তন শ্রমিকের দোষে না হয়ে থাকলে এখানে অন্তর্ভূক্ত হবে)৩মাসের জন্য কোরিয়া ত্যাগ করে আবার এসে একই কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ দিয়ে বানানো “একনিষ্ঠ বিদেশি শ্রমিকের কোরিয়ায় পূনঃপ্রবেশ ও চাকরি সংক্রান্ত বিশেষ সুবিধা পদ্ধতি” টি ২রা জুলাই ২০১২সাল থেকে কার্যকর হবে।

chardike-ad

*আগস্ট ২০১২ হতে চাকরি প্রার্থীরা নিয়োগদাতাদের সাথে যোগাযোগ করেতে পারবে না, নিয়োগদাতার পক্ষ থেকে যোগাযোগের মাধ্যমে নিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহনের প্রক্রিয়া চলবে।

*সুতরাং চাকরি প্রার্থীরা চাকরি পরিবর্তনের আবেদন করার সময় প্রত্যাশিত চাকরির এলাকা সহ অন্যান্য তথ্যাবলী সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে। বিশেষ করে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ সম্ভব হয় এমন মোবাইল ফোন নাম্বার উল্লেখ করতে হবে এবং কর্মস্থল পরিবর্তনে সফল হওয়ার আগ পর্যন্ত সে ফোন নাম্বার পরিবর্তন করা উচিত হবে না।(অনিবার্য কারনে পরিবর্তন করলে অনতিবিলম্বে সংশ্লিষ্ট জব সেন্টারে পরিবর্তিত ফোন নাম্বার জানিয়ে রাখতে হবে)

*বিদেশি শ্রমিক নিম্নোল্লিখিত চাকরি পরিবর্তনের সময়সীমা ৩মাসের মধ্যে নতুন চাকরি পেতে ব্যার্থ হলে অবশ্যই কোরিয়া ত্যাগ করতে হবে। অতএব চাকরি পেতে চাইলে জব সেন্টারের জব ম্যাচিং এর বদৌলতে কোন নিয়োগদাতা আপনাকে ফোন করলে তার ইন্টারভিউতে উতসাহের সাথে অংশগ্রহণ করে সেখানে নিয়োগ পাওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। জব ম্যাচিংয়ের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নিয়োগদাতাকে একবারে ৫জন চাকরি প্রার্থীর তালিকা সরবরাহ করা হয়। নিয়োগদাতা ৫দিনের মধ্যে সে তালিকা থেকে কাউকে নিয়োগ দেবেন কিনা সিদ্ধান্ত নিবেন। অথবা ৫দিন পর আবার তাকে ৫জন চাকরি প্রার্থীর তালিকা দেয়া হবে, এবং এ প্রক্রিয়া চলতে থাকবে।