Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

লাখপতি হচ্ছেন বরগুনার ৭৪ ভিক্ষুক

সিউল, ৬ জুলাই ২০১৪:

বরগুনার পাথরঘাটায় চুয়াত্তর জন ভিক্ষুকের প্রত্যেকে পাচ্ছেন এক লাখ টাকা সমমানের আয়বৃদ্ধিমূলক বিভিন্ন উপকরণ। বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সমৃদ্ধি প্রকল্পের অধীনে তাদের এসব সহায়তা প্রদান করছে স্থানীয় উন্নয়ন সংগঠন সংগ্রাম (সংগঠিত গ্রামোন্নয়ন কর্মসূচী)। এ প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন আয়বৃদ্ধিমূলক ক্ষুদ্র প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাছাইকৃত চুয়াত্তরজন ভিক্ষুককে পর্যায়ক্রমে এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।

chardike-ad

downloadসম্প্রতি পাথরঘাটা শহরের চৌধুরী মাসুম টিবিএম কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রথম ধাপে পাঁচজনকে গরু, ছাগল, হাস-মুরগী ও অটো রিকশাসহ এক লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন আয়বৃদ্ধিমূলক উপকরণ বিতরণ করা হয়।

প্রথম ধাপে যে পাঁচ জনকে এ সহায়তা দেয়া হয় তারা হচ্ছেন- পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের মোঃ আমজেদ মিয়া, ময়না বিবি, মফেজ খাঁ, আদম আলী এবং পিয়ারা বেগম। এদের প্রত্যেকেই পেয়েছেন গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগী ও অটো রিকশাসহ একলাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন আয়বৃদ্ধিমূলক উপকরণ।

এসব উপকরণ পেয়ে এ প্রকল্পের একজন সুবিধাভোগী আমজেদ মিয়া জানান, ভিক্ষা করার কাজ যেমন কষ্টের তেমনি লজ্জার।

এ প্রকল্পের সাফল্য কামনা করে তিনি বলেন, ভিক্ষাবৃত্তির সাথে যারা জড়িত রয়েছেন তাদের অধিকাংশই অনোন্যপায় হয়েই এ পেশায় রয়েছেন। সংগ্রামের এই সমৃদ্ধি প্রকল্পের মত একাধিক প্রকল্পের মাধ্যমে যথাযথ সহায়তা দেয়া হলে সকল ভিক্ষুককেই বিকল্প পেশায় নেয়া সম্ভব।

উন্নয়ন সংগঠন সংগ্রামের সমৃদ্ধি কর্মসূচির সমন্বয়কারী মিজানুর রহমান মানিক জানান, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে সমৃদ্ধি প্রকল্পের অধীনে দীর্ঘদিন ধরে পাথরঘাটা উপজেলার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নে নানামুখী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে।

এ কর্মসূচির অধীনে পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নকে সম্প্রতি একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। এ ইউনিয়নের সকল দরিদ্র ও হত দরিদ্র পরিবারের জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সেসব উন্নয়ন কর্মসূচীর ধারাবাহিকতায় ওই ইউনিয়নের বাছাইকৃত চুয়াত্তুরজন ভিক্ষুককে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে এসব সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। মিজানুর রহমান আরও জানান, নিবিড় পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে এসব ছিন্নমূল ভিক্ষুকদের বিকল্প পেশায় পুনর্বাসন করা হবে।

উন্নয়ন সংগঠন সংগ্রামের নির্বাহী পরিচালক চৌধুরী মোঃ মাসুম জানান, ভিক্ষুক পূণর্বাসনের এ উদ্যোগে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ধাপে ধাপে সেসব চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলার পাশাপাশি ফলাফল পর্যবেক্ষণ করে পর্যায়ক্রমে ৭৪জন ভিক্ষুককেই এসব সহযোগিতার মাধ্যমে বিকল্প পেশায় প্রতিস্থাপন করা হবে।