পাঁচ ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত বিরতি শেষে গাজায় পুনরায় যুদ্ধ শুরু হয়েছে। যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইসরায়েলি সেনারা অবরুদ্ধ গাজার ওপর ট্যাংকের গোলা বর্ষণ করে। এতে গাজার পূর্বাঞ্চলে অন্তত চার ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু হয়। এছাড়া গাজার আল-ওয়াফা হাসপাতালের ওপর গোলা বর্ষণ করা হয়েছে। এতে হাসাপাতালের কোমায় থাকা এবং পক্ষাঘাতগ্রস্ত ১৪ রোগী আহত হয়েছেন। ইসরাইলি গোলায় আহত হয়েছেন হাসপাতালের বেশ কয়েকজন নার্সও।
হাসপাতালের পরিচালক বাসমান আলাশি জানান, এর আগেও আল-ওয়াফা হাসপাতালের ওপর কয়েকবার হামলা চালিয়েছে ইসরাইল এবং পরিচালক ও কয়েকজন ডাক্তারকে হাসপাতাল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। এ সম্পর্কে আলাশি বলেন, হাসাপাতালে বেশ কয়েকজন রোগী রয়েছেন যারা প্যারালাইজড বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত এবং তাদের কারোরই হাঁটার মতো অবস্থা নেই। তারপরও তাদেরকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে তবে কোনো অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ গাজার সব অ্যাম্বুলেন্স এ মুহুর্তে ইসরাইলি হামলায় আহত ব্যক্তিদের আনা-নেয়ার কাজে বিশেষভাবে ব্যস্ত রয়েছে।
টানা ১০ দিনের ইসরাইলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ২৪১ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও আরও দেড় সহস্রাধিক আহত হয়েছেন। ইসরাইলের এসব হামলার জবাবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসও বৃহস্পতিবার ইসরাইলের আশদোদ ও আশকেলোন শহরে রকেট ছুঁড়েছে।