নৌপথে ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির উপকরণ পাঠাচ্ছে চীন

 

chardike-ad

চীন থেকে ক্ষেপণাস্ত্রের প্রপেল্যান্ট তৈরির সরঞ্জাম নিয়ে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ইরানের উদ্দেশে যাত্রা করবে দুটি কার্গো জাহাজ। দুটি ভিন্ন পশ্চিমা দেশের গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাতে এই দাবি করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস (এফটি)। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

কার্গো জাহাজ দুটি ইরানের মালিকানাধীন, যা ইতোমধ্যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। ফলে, এই লেনদেনের কারণে চীনের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোও ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞায় পড়ার ঝুঁকিতে থেকে যাচ্ছে।

এফটি জানিয়েছে, ইরানের পতাকাবাহী গোলবোন ও জাইরান নামের ওই দুই জাহাজ হাজার টনের বেশি সোডিয়াম পারক্লোরেট বহন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই রাসায়নিক ব্যবহার করে অ্যামোনিয়াম পারক্লোরেট উৎপাদন করা হয়, যা ক্ষেপণাস্ত্রের প্রোপেল্যান্ট তৈরির প্রধান উপকরণ।

স্বেচ্ছাসেবী আন্তর্জাতিক অস্ত্রবিস্তার বিরোধী প্রতিষ্ঠান, মিসাইল টেকনোলজি এক্সপোর্ট কন্ট্রোল রেজিমের নিয়ন্ত্রণাধীন রাসায়নিকের তালিকায় রয়েছে এই অ্যামোনিয়াম পারক্লোরেট।

বেইজিংয়ের প্রত্যক্ষ মদতে এই শিপমেন্ট হচ্ছে কিনা, এই তথ্য নিশ্চিত করতে ওই পশ্চিমা কর্মকর্তারা ব্যর্থ হয়েছেন বলে এফটির প্রতিবেদনে বলা হয়।

নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেছেন, এই শিপমেন্টের খুঁটিনাটি নিয়ে তিনি অবগত নন। তবে নিজেদের রফতানি নিয়ন্ত্রণ আইন ও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতার প্রতি চীন সর্বদাই শ্রদ্ধাশীল।

অবশ্য চীন সবসময়ই একতরফা অবৈধ নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিরোধী, এ কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।

এফটির প্রতিবেদন অনুসারে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কর্মকর্তা দাবি করেছেন, যে পরিমাণ সোডিয়াম পারক্লোরেট আছে, তা দিয়ে অন্তত ৯৬০ টন অ্যামোনিয়াম পারক্লোরেট উৎপাদন করা সম্ভব। এই পরিমাণ রাসায়নিক দিয়ে এক হাজার ৩০০ টন প্রোপেল্যান্ট তৈরি করা যাবে, যা মাঝারি পাল্লার অন্তত ২৬০টি ক্ষেপণাস্ত্রে ব্যবহার করতে পারবে ইরান।