chardike-ad

যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে নতি স্বীকার করে যুদ্ধাবসানের জন্য খনিজ সম্পদ সংক্রান্ত চুক্তি বিবেচনা করতে সম্মত হয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিন্তু এরপরও বহুল আকাঙ্ক্ষিত নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা এখনও কাটলো না তার। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক বক্তব্যে জেলেনস্কির সব আশার গুড়ে বালি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তার জন্য উল্লেখযোগ্য কোনও পদক্ষেপ আর নেবে না ওয়াশিংটন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

খনিজ সম্পদ বিষয়ক চুক্তি নিয়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে জেলেনস্কির সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করার পর ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেনের জন্য আমি আর খুব বেশি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে যাচ্ছি না। এই কাজের জন্য আমাদের ইউরোপ তো আছেই।

নিজের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম ক্যাবিনেট মিটিংয়ের শুরুতেই জেলেনস্কির সফরের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেছেন, এই চুক্তিটি একটি বিশাল অর্জন হতে যাচ্ছে। আগের প্রশাসন আমাদের বেকায়দা এক অবস্থানে ফেলে গিয়েছিল। কিন্তু আমরা এমন একটি চুক্তি প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছি, যার কারণে আগের আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে ভবিষ্যতে উল্টো আরও অনেক লাভবান হব আমরা।

ইউক্রেনের দীর্ঘদিনের দাবি এবং তাদের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ শুরুর অন্যতম কারণ, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে কিয়েভের সদস্যপদ প্রাপ্তির সম্ভাবনাকেও নাকচ করে দিয়েছেন ট্রাম্প।

তিনি বলেছেন, ন্যাটোর কথা তাদের ভুলে যাওয়া উচিত। পুরো যুদ্ধ শুরুর নেপথ্যের কারণই ছিল বোধহয় এটি।

এর আগে জেলেনস্কি বলেছিলেন, দুদেশের মধ্যে একটি প্রাথমিক অর্থনৈতিক চুক্তির খসড়া সম্পন্ন হলেও সেখানে মার্কিন নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে কোনও কথা বলা হয়নি। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে এখন এটিই তাদের অন্যতম চাওয়া।

কিয়েভে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেছেন, ওয়াশিংটন সফরে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের ফলের ওপরই পুরো চুক্তির চূড়ান্ত রূপ নির্ধারণ করবে।

সংবাদমাধ্যমে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গেছে, ২০২২ সালে ইউক্রেনে সর্বাত্মক রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের পাওনা মেটানোর জন্য খনিজ সম্পদের অ্যাক্সেস চাইছেন ট্রাম্প।

ইউক্রেনের খনিজ ভাণ্ডারে অ্যাক্সেস পাওয়ার জন্য কিয়েভকে নতি স্বীকার করিয়েই ছেড়েছে হোয়াইট হাউজ। ট্রাম্প এই সম্পদের ভাণ্ডার পাওয়াকে সরাসরি উল্লেখ করেছেন এতদিনের সমর্থনের প্রতিদান হিসেবে। এসব সম্পদ মার্কিন প্রতিরক্ষা, পরমাণু ও মহাকাশ গবেষণা খাতে ব্যবহার হবে।