Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মেলে নি লঞ্চের খোঁজ, উদ্ধার অভিযানে আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি

পদ্মা নদীতে পিনাক-৬ লঞ্চডুবির সপ্তম দিনে এসে উদ্ধার অভিযানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেছে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসন। রবিবার দুপুর ১২টার সময় মাওয়ার পদ্মা সেতু রেস্ট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাইফুল হাসান বাদল এ ঘোষণা দেন। তবে উদ্ধারকাজে কাণ্ডারি-২ ও জরিপ-১০ থাকবে। জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, পদ্মার তলদেশে যে ধাতব বস্তুসদৃশ অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া গেছে তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের জাহাজ কাণ্ডারি-২ ও জরিপ-১০ কাজ করবে।

munshigonj_DC.jpg
উদ্ধার অভিযানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করছেন মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাইফুল হাসান বাদল।

সাইফুল হাসান বলেন, “উদ্ধার কাজে নিয়োজিত নৌ বাহিনী, কোস্ট গার্ড, বিআইডব্লিউটিএ ও ফায়ার সার্ভিসকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে তাদের ডুবুরি দল উদ্ধার কাজে নিয়োজিত থাকবে।”

chardike-ad

আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণার বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, “ডুবুরিরা সাধারণত ১ থেকে ১.৫ মাত্রার স্রোত থাকলেও কাজ করতে পারে। বর্তমানে নদীতে ৫ থেকে ৬ মাত্রার স্রোত রয়েছে। এ অবস্থায় ডুবুরিদের পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয়। নদীর স্রোত কমে আসলে ডুবুরিরা পুরোদমে কাজ করবে।”

জনাব হাসান বলেন, “সমন্বিত উদ্ধার অভিযানে আমরা ৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা চষে বেড়িয়েছি। কোথাও মেলেনি পিনাকের সন্ধান।”

উল্লেখ্য, ডুবে যাওয়া পিনাক-৬ লঞ্চ শনাক্ত করতে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় উদ্ধার অভিযান চালায় সরকার। বাংলাদেশে লঞ্চডুবির ঘটনায় এর আগে এতো বড় এবং দীর্ঘ উদ্ধারকাজ কখনও হয়নি। উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন উদ্ধারকারী জাহাজ ‘কাণ্ডারি-২’ । সাথে ছিল ‘রুস্তম’, ‘নির্ভীক’ ‘জরিপ-১১’, ‘জরিপ-১০’, ‘শাহপরান’ এবং ‘এলসিটি-০১২’। এর আগে এতগুলো উদ্ধারকারী জাহাজ আর কোনো লঞ্চ দুর্ঘটনার এক সঙ্গে অংশ নেয়নি। সরকারের সব বিভাগ থেকে উদ্ধার কাজে অংশ নেন সবচেয়ে বেশিসংখ্যক উদ্ধারকর্মী। ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনীর ডুবুরিদল, কোস্টগার্ড, বিআইডব্লিউটিএ, স্থানীয় প্রশাসন, সিভিল ডিফেন্স, পুলিশ, র‌্যাব এবং আনসারসহ অনেকেই নিয়োজিত হন এই উদ্ধারকাজে। এ ছাড়াও দুর্ঘটনার পরেই র‌্যাবের হেলিকপ্টারও আসে।

গত ৪ আগস্ট প্রায় তিনশ যাত্রী নিয়ে মাওয়ার পদ্মা নদীতে পিনাক-৬ লঞ্চ ডুবে যায়। এখন পর্যন্ত পদ্মার ভাটিতে নানা জায়গায় নদী থেকে মোট ৪৩ জন যাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী, ডুবে যাওয়া লঞ্চের ৪৯ জন যাত্রীর জীবিত থাকার সন্ধানের পর নিখোঁজের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১ জনে। লঞ্চডুবির ঘটনায় মাওয়ায় স্থাপিত পুলিশের কন্ট্রোল রুমের ব্যবস্থাপক শ্রীনগর থানার ওসি (তদন্ত) মজিবুর রহমান শনিবার রাতে জানান, বর্তমান ১২০ জনের নিখোঁজ তালিকার অন্তত ৪৯ জন জীবিত। এদের অনেকেই পিনাক-৬ লঞ্চেই ছিল না। সে হিসেবে এখন নিখোঁজের সংখ্যা ৭১ জন।