Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

এবোলা প্রতিরোধে যা যা করণীয়

এবোলা ভাইরাস নিয়ে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি মানুষের মধ্যেই তৈরি হয়েছে আতঙ্ক৷ এ থেকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই৷ বরং প্রয়োজন সতর্কতা৷ চলুন জানা যাক বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কি কি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে৷

প্রতিদিন বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বিমানের মাধ্যমে চলাফেরা করছে মানুষ৷ যে কোনো জীবানু অসুস্থ রোগীর মধ্যে থেকে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে বিমান আরোহীদের মধ্যে৷ আর সেখান থেকে হাজারো মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে সেই জীবাণু৷ বৃহস্পতিবার এ কারণেই হয়ত যুক্তরাষ্ট্র আফ্রিকার পশ্চামাঞ্চলের দেশ গিনি, লাইবেরিয়া ও সিয়েরা লিওনে প্রয়োজন না হলে যেতে নিষেধ করেছে৷

chardike-ad

এত নিরাপত্তা বা প্রতিরোধের কারণ হলো এই ভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন বা উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি এখনো আবিষ্কার হয়নি৷ এখন ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রায় ৬০ ভাগ৷ আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত, লালা, শরীর থেকে বের হওয়া অন্য কোনো ধরনের রস থেকে অন্য ব্যক্তি খুব সহজেই সংক্রমিত হতে পারে৷ তবে ‘এয়ার বোর্ন’ বা বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে এই সংক্রমণের ঘটনা এখনো জানা যায়নি৷

ডেল্টা এয়ারলাইন্স ডাকার, সেনেগাল, আক্রা, ঘানা, লাগোস ও নাইজেরিয়ায় চলাচল করে৷ ব্যবসায়িক কারণ দেখিয়ে এরই মধ্যে এয়ারলাইন্সটি ঘোষণা করেছে তারা সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ আফ্রিকার এ সব দেশে চলাচল করবে না৷

0,,17845232_403,00সংক্রমণ

সাধারণত এবোলা ভাইরাস বাতাসে নয়, দেহের তরল পদার্থ রক্ত, বীর্জ, লালা ইত্যাদির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়৷ সরাসরি শারীরিক সংযোগের মাধ্যমে ঘটে থাকে সংক্রমণ৷ যেমন ভাইরাসে আক্রান্ত কারো সেবা করলে৷ এ কারণে হাসপাতালগুলিতে এর বিস্তৃতি লক্ষ্য করা যায়৷ এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মরদেহ স্পর্শ করলেও সংক্রমণ হতে পারে৷ ভাইরাসরা বাহকের প্রতিটি সেলেই বিস্তৃত হতে পারে৷ রক্ত ও দেহ নিসৃত রসের মাধ্যমে এবোলা সংক্রমণের সম্ভাবনা শতকরা ৯০ ভাগ৷

উপসর্গ

সাধারণত শরীরের তরল পদার্থ যেমন রক্ত, বীর্জ, লালা ইত্যাদির মাধ্যমে একজন থেকে অন্যজনে সংক্রমিত হয় এবোলা ভাইরাস৷ ক্ষুদ্র কোনো ক্ষত দিয়েই শরীরে ঢুকে পড়তে পারে এই ভাইরাস৷ আক্রান্ত হওয়ার চার থেকে ১৬ দিনের মধ্যে রোগের লক্ষণগুলি দেখা যায়৷ আক্রান্তরা জ্বর, শরীর কাঁপুনি, মাথাব্যথা, পেশিব্যথা, অরুচি এসব উপসর্গের কথা বলেন৷ দুই থেকে ২১ দিনের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তি দুর্বল হতে থাকে৷ অভ্যন্তরীণ রক্তপাত হয়৷ বিশেষ করে পেট ও অন্ত্রের নালী এবং প্লীহা ও ফুসফুস আক্রান্ত হয়, যা ভুক্তভোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়৷

কোনো ওষুধ নেই

এখন পর্যন্ত এবোলা প্রতিরোধী ওষুধ বা টিকা বাজারে আসেনি৷ রোগীকে উপসর্গগুলি কমানোর ওষুধ দেয়া হয়৷ বিগত বছরগুলিতে এই ভাইরাস প্রতিরোধী টিকা বের করার জন্য বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে৷ কিন্তু মানবদেহে প্রয়োগ করার অনুমোদন এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি৷ ডিডব্লিউ।

এপিবি/ডিজি (এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)