দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া নিষ্ঠুর আওয়ামী নেতাদের পৈশাচিক দমন-পীড়ন ছিল ইয়াজিদ বাহিনীর সমতুল উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘জাগতিক অন্যায় ও দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং ইমাম হোসেন (রা.)-এর আত্মত্যাগ বাংলাদেশসহ সারা দুনিয়ার মুসলমান ও বিশ্ববাসীর জন্য এক মহিমান্বিত অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।’
শনিবার (৫ জুলাই) পবিত্র আশুরা উপলক্ষে গণমাধ্যমকে পাঠানো বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, ‘হজরত হোসেন (রা.)-এর শাহাদাত অন্যায়, অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে এক নজিরবিহীন আদর্শিক সংগ্রামের উদাহরণ।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, হিজরির ১০ মহররম—পবিত্র আশুরা—ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য অত্যন্ত স্মরণীয় ও ঘটনাবহুল এক দিন। কারবালার প্রান্তরে হজরত ইমাম হোসেন (রা.)‑এর শাহাদাত অন্যায়‑অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে চিরকালীন সংগ্রামের অনুপম দৃষ্টান্ত গড়ে দিয়েছে, যা আজও বিশ্ব মুসলিম‑সহ সব ন্যায়‑বিচারপ্রবণ মানুষকে অনুপ্রাণিত করে।
তারেক রহমানের ভাষ্য, মহানবী হজরত মুহম্মদ (সা.)‑এর দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.) সত্য ও ইনসাফ রক্ষায় প্রাণ উৎসর্গ করে মানবিক মর্যাদা, তাকওয়া ও ত্যাগের বার্তা প্রতিষ্ঠা করেন। সেই আদর্শকে ধারণ করে অন্যায়‑অবিচার রুখে দাঁড়ানোই আশুরার মূল শিক্ষা। তিনি বলেন, বাংলাদেশেও অত্যাচারী শক্তির বিরুদ্ধে ইমাম বাহিনীর সংগ্রাম আমাদের প্রতিরোধের প্রেরণা হয়ে আছে।
আওয়ামী লীগের শাসনামলের ১৬ বছরকে ‘ফ্যাসিস্ট রাজত্ব’ আখ্যা দিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, ভোটাধিকার হরণ, গুম‑খুন, দুর্নীতি ও অর্থপাচার—সব ক্ষেত্রেই ক্ষমতাসীনরা ‘ইয়াজিদের পথ অনুসরণ’ করেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ‘মিথ্যা মামলায়’ কারাবন্দী রেখে সুচিকিৎসা বঞ্চিত করার ঘটনাকে তিনি সেই নিপীড়নেরই উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তারেক রহমান বলেন, “ইমাম হোসেন (রা.)‑এর আত্মত্যাগের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশে ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। কোনো স্বৈরাচারকে আর যেন মাথাচাড়া দিতে না দেওয়া হয়, সে জন্য আশুরার শিক্ষা আমাদের অবিচল রাখবে।” তিনি ইমাম হোসেন (রা.)‑এর পরিবার ও সঙ্গীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।