ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, পুতিন অনেক মানুষ হত্যা করছেন, যার মধ্যে রয়েছেন তার নিজের সেনারাও। পাশাপাশি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, পুতিন আমাদের বিরুদ্ধে অনেক সময় বাজে কথা বলেন। যদিও সবসময় কথাবার্তা ভদ্রভাবেই বলেন, কিন্তু পরে দেখা যায়, তার কোনো মানে নেই।” তিনি আরও যোগ করেন, “পুতিন মানুষ হত্যা করছেন— তার সৈন্যরাও মরছে, ইউক্রেনের নাগরিকরাও।
সিনেট থেকে প্রস্তাবিত রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা বিল সম্পর্কে জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, আমি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। তবে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করবেন কিনা, তা স্পষ্ট করে জানাননি তিনি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখনই সব বলে দিচ্ছি না। একটু চমক থাক। এ সময় তিনি ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরো বলেন, ইউক্রেনকে আরও প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে মার্কিন গণমাধ্যম জানায়, অস্ত্র মজুদ কমে যাওয়ায় কিছু সরবরাহ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। পেন্টাগন জানিয়েছে, তারা বিষয়টি নিয়ে একটি “সক্ষমতা পর্যালোচনা” করছে।
ট্রাম্প আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত শেষ করবেন। কিন্তু একাধিকবার পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ করেও যুদ্ধ থামাতে পারেননি তিনি। মে মাসে তুরস্কে ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে একটি সরাসরি আলোচনা হলেও কেবল বন্দি বিনিময় চুক্তি হয়েছিল। স্থায়ী বা অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়ে এখনও কোনও অগ্রগতি হয়নি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার জন্য সম্ভাব্য তারিখের প্রস্তাবের অপেক্ষায় আছে মস্কো। তার ভাষায়, “তারিখ নির্ধারিত হলে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাব।”
এদিকে ইউক্রেনের একাধিক শহরে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া। যুদ্ধক্ষেত্রেও বিভিন্ন ফ্রন্টে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে তারা। গত সোমবার রাশিয়া দাবি করে, দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলের দাচনে নামক একটি গ্রাম তারা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।




































