
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের গোকর্ণের রামতীর্থ পাহাড়ের একটি গুহা থেকে দুই সন্তানসহ এক রুশ নারীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ‘আধ্যাত্মিক প্রশান্তি ও ধ্যানের উদ্দেশ্যে’ তিনি ওই গুহায় অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে।
শনিবার (১৩ জুলাই) উত্তর কান্নাডা জেলার পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, উদ্ধার হওয়া নারীর নাম নিনা কুতিনা, যিনি নিজেকে ‘মোহি’ নামে পরিচয় দেন। বয়স ৪০ বছর। ব্যবসায়িক ভিসায় ভারতে এসে প্রথমে গোয়ায় অবস্থান নেন তিনি, পরে চলে আসেন গোকর্ণে। সেসময় হিন্দু ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতার প্রতি গভীর আগ্রহ জন্মায় তাঁর।
নিনার সঙ্গে ছিল তাঁর দুই সন্তান—প্রেয়া (৬) ও অমা (৪)। স্থানীয় পুলিশ জানায়, গত দুই সপ্তাহ ধরে ওই গুহায় ধ্যান ও পূজায় নিমগ্ন ছিলেন নিনা। তিনি প্রকৃতির মাঝে থেকে আত্মিক প্রশান্তি খুঁজছিলেন।
উদ্ধার প্রসঙ্গে উত্তর কান্নাডার পুলিশ সুপার এম নারায়ণ পিটিআইকে বলেন, “ওই নারী ও তাঁর শিশুরা কীভাবে এতদিন জঙ্গলে টিকে ছিলেন এবং কী খেয়ে বেঁচে ছিলেন, তা বিস্ময়ের বিষয়। সৌভাগ্যক্রমে এ সময় তাদের কারও কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতি হয়নি।”
গত শুক্রবার পুলিশের একটি নিয়মিত টহল দল গুহার বাইরে শুকাতে দেওয়া পোশাক দেখে সন্দেহ হয়। এরপর গুহায় গিয়ে নিনা ও তাঁর সন্তানদের খুঁজে পাওয়া যায়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, নিনার ভিসার মেয়াদ ২০১৭ সালেই শেষ হয়ে গেছে। তিনি ঠিক কতদিন ধরে ভারতে অবস্থান করছেন, তা এখনও পরিষ্কার নয়। বর্তমানে তাঁকে স্থানীয় একটি আশ্রমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রুশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ চলছে।




































