Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

পর্যটন কেন্দ্র হবে হান নদী

বৈঠকের আগে করমর্দন করছেন অর্থমন্ত্রী ছোয়ে খিয়ুং হোয়ান (বায়ে) ও সিউলের মেয়র পার্ক উওন সুন। ইয়নহাপ।
বৈঠকের আগে করমর্দন করছেন অর্থমন্ত্রী ছোয়ে খিয়ুং হোয়ান (বায়ে) ও সিউলের মেয়র পার্ক উওন সুন। ইয়নহাপ।

হান নদীকে একটি অন্যতম পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করতে যৌথভাবে কাজ করবে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ও সিউল নগর কর্তৃপক্ষ। সোমবার উভয়পক্ষের একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেয়া হয়। কেন্দ্রীয় সিউলের কোরিয়া প্রেস সেন্টারে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন পরিকল্পনা সংক্রান্ত এ বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে অর্থমন্ত্রী ছোয়ে খিয়ুং হোয়ান ও নগর সরকারের পক্ষে মেয়র পার্ক উওন সুন অংশ নেন।

পুরো প্রকল্পটি তদারকির জন্য একজন উপমন্ত্রী ও ভাইস মেয়রের নেতৃত্বে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়েও বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। প্রাথমিক উন্নয়ন পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে নদী সংলগ্ন এলাকায় সাংস্কৃতিক ও বিনোদন কেন্দ্র, যাদুঘর এবং শপিং মল স্থাপন; নদীতে একাধিক ফেরী পারাপার সেবা চালু ইত্যাদি। বিগত ৩০ বছরের মধ্যে এটাই হবে হান নদীতে সবচেয়ে বড় সংস্কার কার্যক্রম।

chardike-ad

seoul-han.river.at.night-01 (Custom)

গত মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হানকে প্যারিসের সেইনে ও লন্ডনের টেমসের মতো আকর্ষণীয় পর্যটন ও অবকাশ যাপন কেন্দ্রে পরিণত করতে উদ্যোগ গ্রহনের কথা বলা হয়েছিল। বৈঠক শেষে সিউলের মেয়র পার্ক বলছিলেন তাঁরা কি ভাবছেন, “সরকার ইতোমধ্যেই হান নদী ও নাম পর্বত নিয়ে বেশ কিছু পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এগুলোর পরিবেশগত উন্নয়নের বিষয়ে আমাদের নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা ছিল। তবে নগর কর্তৃপক্ষও উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে বিধায় আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

কোরিয়ার প্রধান বিরোধী জোট এনপিএডি সমর্থিত মেয়র পার্ক আরও বলেন, “অর্থনৈতিক উত্তরণকে প্রাধান্য দেয়ার ক্ষেত্রে সরকার ও বিরোধী দলে কোন দ্বিমত নেই। জাতীয় অর্থনীতিকে সচল রাখতে সিউল কর্তৃপক্ষ সরকারের সাথে একযোগে কাজ করবে।” অর্থমন্ত্রীও মেয়রের বক্তব্যকে সমর্থন করে বলেন, “অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার বিষয়ে কোন নীতিগত বিরোধ থাকতে পারে না। বেসরকারী বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করছে এমন বিধিবিধানসমূহ থেকে বেরিয়ে আসতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।”