সিউলের একজন খ্রিষ্টান ধর্মযাজককে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির আদালত। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জেটিবিসি এর একটি বিশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী ৭৪ বছর বয়েসি লি রক সিউলের গুরু এলাকায় অবস্থিত মানমিন সেন্ট্রাল চার্চ পরিচালনা করেন। ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কমপক্ষে পাঁচজন নারীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পাঁচজন ভুক্তভোগী নারী ঐ যাজকের বিরুদ্ধে মামলা করে এবং তারা দাবী করে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার সময় তাদের বয়স ছিল ২০ থেকে ৩০ বছর। অভিযোগকারীরা আরো বলেন ঈশ্বরের আদেশ আখ্যা দিয়ে লি তাদেরকে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে।
দক্ষিণ কোরিয়ার মূলধারার খ্রীস্টান ধর্মীয় সংগঠন পরিচালিত লি’র এই চার্চটিতে ১ লক্ষ ৩০ হাজার সদস্য রয়েছে। সদস্যরা তাদের নেতা লি’র বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি লি সবসময়ই যৌন নীতির উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। হিংসার বশবর্তী হয়ে লি’র কিছু পুরনো শিষ্য তার বিরুদ্ধে মিথ্যা গুজব রটিয়েছে।