
সম্ভাবনাময় ওষুধশিল্পে অস্বচ্ছ নীতি ও নিষ্ক্রিয়তায় ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিএনপি। দলের দাবি, সরকারের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটি (ডিসিসি), অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ তালিকা প্রণয়নের টাস্কফোর্স ও ডিসিসির টেকনিক্যাল সাব-কমিটিতে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির কোনো প্রতিনিধি নেই, যা শিল্পের স্বার্থবিরোধী।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, প্রায় দুই বছর ধরে নতুন কোনো ওষুধের নিবন্ধন দেওয়া হয়নি এবং দীর্ঘদিন দামও সমন্বয় করা হয়নি। তাঁর মতে, ওষুধশিল্পের নীতি প্রণয়ন ও উন্নয়নে স্বচ্ছতা এবং অংশগ্রহণমূলক সিদ্ধান্ত জরুরি, এজন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত শোনা উচিত।
মির্জা ফখরুল বলেন, শিল্প উদ্যোক্তাদের বাদ দিয়ে কোনো কমিটি বা নীতি প্রণয়ন গ্রহণযোগ্য নয়। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন মাথায় রেখে শিল্প সুরক্ষায় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ওষুধশিল্প দেশের চাহিদার প্রায় শতভাগ মেটাচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ ১৬০টির বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এ খাত এখন এপিআই উৎপাদনেও সক্ষম।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিএনপি সরকারের সময় (১৯৯৪) ওষুধের মূল্যনীতি প্রণয়ন, (২০০২) জাতীয় ওষুধ নীতি হালনাগাদ, (২০০৩) ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ শক্তিশালীকরণসহ ট্রিপস ছাড়ের সুযোগে সাশ্রয়ী জেনেরিক ওষুধ উৎপাদন ও রপ্তানি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল।
বিএনপির মতে, নতুন নিবন্ধন ও দাম সমন্বয় না করায় ট্রিপস ছাড় হারানোর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। তাই দ্রুত নতুন নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু ও উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শিল্পবান্ধব সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দলটি।






































