
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কেউ ষড়যন্ত্র করলে বিএনপি নয়, দেশের জনগণই তা প্রতিহত করবে।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে বাংলাদেশ কর্মজীবী দলের আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “জনগণের বহু প্রত্যাশার এই নির্বাচনকে ঘিরে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে—তাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে কেউ যদি নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করে, দেশের জনগণই তাদের রুখে দেবে।”
ফারুক অভিযোগ করেন, ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণ দীর্ঘ ১৬ বছর অপেক্ষা করছে, অথচ ৭১-এর বিরোধীরা ষড়যন্ত্র করে পিআর পদ্ধতিতে ভোটের পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, “যদি দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, আল্লাহ ছাড়া কেউ ধানের শীষকে রুখতে পারবে না। ড. ইউনূস বিশ্বব্যাপী সম্মানিত, কিন্তু তিনি যদি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হন, ইতিহাসে তা কলঙ্ক হয়ে থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার জন্য যারা বুকের রক্ত দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অস্থিরতা সৃষ্টি করা হলে জনগণ তা মেনে নেবে না। “এ দেশ এখন জনগণের, আর কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। ভোটাধিকার রক্ষার জন্য আমরা আত্মাহুতি দিয়েছি, দীর্ঘ অপেক্ষার পর তা ফিরিয়ে এনেছি—এবার কেউ যদি সেই অধিকার হরণ করতে চায়, তার জবাব জনগণ দেবে।”
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের ট্রেনে চড়তে হলে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। বয়োজ্যেষ্ঠদের সম্মান করুন, গ্রামে যারা অত্যাচার করে তাদের রুখে দিন। পদ নয়, দলকে ভালোবাসুন।”
শেখ হাসিনার সমালোচনা করে ফারুক বলেন, “পিআর হোক বা ইভিএম—কিছুই টিকবে না। ক্ষমতায় থেকে দেশ লুট করেছেন, প্রতিবেশী দেশকে সব দিয়ে দিয়েছেন, এখন ভালোবেসে সেখানেই চলে গেছেন। উসকানি বন্ধ করুন, জনগণ আপনার ষড়যন্ত্র ঠেকাতে প্রস্তুত।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি আলী হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আলতাব হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুনুর রশিদ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, মাইনুল ইসলাম প্রমুখ।






































