ফ্রান্সের নাগরিক ও অভিবাসী মিলিয়ে মোট ৯৩০ জন ইরাক ও সিরিয়ায় জিহাদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছে অথবা জিহাদে যোগ দিতে সেখানে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। ওই ৯৩০ জনের মধ্যে কমপক্ষে ৬০ জন নারী রয়েছেন।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বার্নাড কাজেনুভে রোববার সাপ্তাহিক লা জার্নাল দ্য ডিমানসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ফ্রান্সের নাগরিক ও অভিবাসী মিলিয়ে মোট ৯৩০ জন ইরাক ও সিরিয়ায় সম্পূর্ণভাবে জিহাদের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। এর মধ্যে ৬০ নারীসহ ৩৫০ জন জিহাদে লিপ্ত রয়েছে। আনুমানিক ১৮০ জন সিরিয়া থেকে ফিরে এসেছে এবং ১৭০ জন ওই এলাকার পথে রয়েছে।
তিনি বলেন, আরো ২৩০ জনের মত জিহাদিদের নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোর দিকে যাওয়ার পথ খুঁজছে। ইতোমধ্যে সেখানে ৩৬ জন মারা গেছে।
পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের দলে ভেড়া এবং তারপর দেশে এসে নৃশংসতা চালানোর সম্ভাবনার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
শনিবার আইএস জঙ্গিরা ডেভিড হেইন্স (৪৪) নামের এক ব্রিটিশ ত্রাণকর্মীর শিরñেদ করার দাবি করেছে। জিহাদিদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মুখোশধারী এক জঙ্গি হেইন্সের শিরñেদ করছে। আর মুখোশপরা ওই জঙ্গির উচ্চারণে ব্রিটিশ টান রয়েছে।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য জিহাদিদের ব্যাপারে অন্তত ৩৫০টি সতর্কবার্তা পাওয়ার পর কমপক্ষে ৭০ জনকে দেশত্যাগে বাধা দেয়া হয়েছে। যাদেও ব্যাপারে সতর্কবার্তা পাওয়া গেছে তাদেও মধ্যে ৮০ শিশু-কিশোর ও ১শ’ ৫০ জন নারী রয়েছে।