Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

এশিয়ান গেমসের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত দক্ষিণ কোরিয়া

কাল থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর এশিয়ান গেমস। আয়োজক দেশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনছন শহরে এখন তাই বিদেশী খেলোয়াড়, কর্মকর্তা আর গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড় শুরু হয়ে গেছে।

downloadদুইদিন আগে থেকেই ইনছন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাই এশিয়ান গেমস উপলক্ষে লম্বা কিউতে দাঁড়ানো এশিয়ান গেমসে আসা বিদেশী অতিথিদের সামলাতে ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা গেছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। গেমসের প্রস্তুতিও পুরোপুরি সম্পন্ন করেছে স্থানীয় আয়োজক সংস্থা।

chardike-ad

এবারের আসরটি এশিয়ান গেমসের ১৭তম আসর। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে ভারতকে ৩২-১৩ ভোটে হারিয়ে এশিয়ান গেমসের আয়োজনের স্বত্ব লাভ করার পর থেকেই যেন কোরিয়ানরা আর পেছনে ফিরে তাকায়নি। ২০০২ সালে সর্বশেষ বুসান এশিয়ান গেমসে আয়োজনের সাফল্যই যেন কোরিয়াকে দুই আসর পরে আবারো এই সুযোগ এনে দিয়েছে। তাই এবার আয়োজনের সফলতার পাশপাশি মাঠের পারফরমেন্সেও এশিয়ান এই অন্যতম মহাপরাশক্তির দেশটি নিজেদের প্রমাণ করতে বদ্ধপরিকর।

এশিয়ান গেমসে অতীত ইতিহাস থেকে দেখা গেছে বরাবরই শীর্ষস্থানে থাকা চায়নার পরই দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের অবস্থান নিশ্চিত থাকে। সর্বশেষ ২০১০ সালে গুয়াংজু এশিয়ান গেমসের এর ব্যতিক্রম ছিল না। ১৯৯টি স্বর্ণ, ১১৯টি রৌপ্য ও ৯৮টি ব্রোঞ্জসহ সর্বমোট ৪১৬টি পদক নিয়ে চায়না ছিল শীর্ষে। ৭৬টি স্বর্ণ, ৬৫টি রৌপ্য ও ৯১টি ব্রোঞ্জসহ ২৩২টি পদক নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া দ্বিতীয় ও ৪৮টি স্বর্ণ, ৭৪টি রৌপ্য ও ৯৪টি ব্রোঞ্জসহ ২১৬টি পদক নিয়ে জাপানের অবস্থান ছিল তৃতীয়। এবার স্বাগতিক হিসেবে এই সংখ্যা আরো এগিয়ে নিতে নিঃসন্দেহে কোরিয়ার চেষ্টার কোন কমতি থাকবে না।

এবারের আসরে ৩৬টি ক্রীড়ার ৪৩৯টি ইভেন্টে ৪৫টি দেশের প্রায় ১০ হাজার ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণ করছে। খেলোয়াড়দের সাথে রয়েছে বিভিন্ন দেশের আরো প্রায় তিন হাজার কর্মকর্তা। এই গেমসে বিভিন্ন দেশের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে ২০১৬ রিও অলিম্পিক গেমসে সামনে রেখে নিজেদের খেলোয়াড়দের ঝালিয়ে নেয়া। সেই উদ্দেশ্যে অনেক দেশই এখানে তরুন এ্যাথলেটদের পাঠিয়েছে। বাংলাদেশ ১৩টি ডিসিপ্লিনে ১২৬ জন খেলোয়াড় ও ৪০ জন কর্মকর্তাসহ সর্বমোট ১৬৬ জন অংশগ্রহণ করছে।

এছাড়া প্রেস, ইলেকট্রনিক এবং ফটো জার্নালিস্ট মিলে প্রায় সাড়ে নয় হাজার গণমাধ্যমকর্মীও পেশাগত দায়িত্ব পালনে ইতোমধ্যে ইনছনে এসে পৌঁছেছে। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য এবারের আসরে মূল ভেন্যু ৪৯টি। এর মধ্যে ৬২ হাজার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ইনছন এশিয়ান মেইন স্টেডিয়ামে কাল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬.০০টায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে।

প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে আয়োজিত এই গেমসে স্লোগান হচ্ছে ‘ডাইভারসিটি শাইনস হিয়ার’ অর্থাৎ ’বৈচিত্র্য এখানে উজ্জ্বল’। এশিয়ান বিশাল ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংষ্কৃতি তুলে ধরাই সাধারণত এর মূল উদ্দেশ্যে। একইসাথে এক দেশের সাথে অন্য দেশের বন্ধুপ্রতীম সম্পর্ক ও একতা এর মাধ্যমে আরো উজ্জ্বল হয়।