
সুপার ফোরের দ্বিতীয় ম্যাচেও হারলো শ্রীলঙ্কা। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে হারায় বাবর আজমের দল। টানা দ্বিতীয় পরাজয়ে চাপে পড়ল শ্রীলঙ্কা, যাদের পরবর্তী প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভারত।
১৩৪ রানের টার্গেট তাড়ায় নেমে পাকিস্তান ঝড়ো সূচনা করে। ওপেনার সাহেবজাদা ফারহান ও ফখর জামান প্রথম পাঁচ ওভারে দলকে এনে দেন ৪৩ রান। তবে পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে দুই ওপেনারের বিদায়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। নবম ওভারের মধ্যে ৫৭ রানে ৪ উইকেট হারানো অবস্থায় ম্যাচ তখন শ্রীলঙ্কার দিকেই ঝুঁকছিল।
সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন হুসেইন তালাত। প্রথমে মোহাম্মদ হারিসের সঙ্গে ছোট জুটি গড়েন তিনি। হারিস আউট হলে নতুন সঙ্গী হিসেবে ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ নওয়াজ। দুজন মিলে ষষ্ঠ উইকেটে গড়েন ৫৮ রানের জুটি, যা ম্যাচের গতিপথ ঘুরিয়ে দেয়। তালাত ৩০ বলে অপরাজিত ৩২ রান করেন, সঙ্গে নওয়াজ খেলেন ২৪ বলে ৩৮ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস।
শ্রীলঙ্কার হয়ে থিকসানা ও হাসারাঙ্গা দুটি করে উইকেট শিকার করেন। আরেকটি উইকেট নেন দুশমান্থা চামিরা। অসাধারণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে—২ উইকেট ও অপরাজিত ৩২ রানে—ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন হুসেইন তালাত।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। প্রথম ওভারেই শাহিন আফ্রিদির শিকার হয়ে শূন্য হাতে ফেরেন কুশাল মেন্ডিস। নিজের দ্বিতীয় ওভারে পাথুম নিশাঙ্কাকেও আউট করেন তিনি। কুশাল পেরেরা ১৫ রানের ছোট ইনিংস খেলে বিদায় নিলে লঙ্কানরা আরও চাপে পড়ে। অধিনায়ক আসালাঙ্কা করেন ১৯ বলে ২০ রান, কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।
মাঝে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন কামিন্দু মেন্ডিস। ৪৪ বলে ৫০ রানের লড়াকু ইনিংসে দলকে ১২০ পার করেন তিনি। চামিকা করুনারত্নে ২১ বলে অপরাজিত ১৭ রান করে শেষ পর্যন্ত সঙ্গ দেন। তবে তা যথেষ্ট হয়নি।
পাকিস্তানের হয়ে শাহিন আফ্রিদি ২৮ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। হুসেইন তালাত ও হারিস রউফ সমান দুইটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন।
এই জয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান স্বস্তিতে থাকলেও টানা দুই হারে কঠিন সমীকরণে পড়ল শ্রীলঙ্কা।





































