বুধবার । ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫
নিয়াজ মাহমুদ সাকিব ফিচার ১ অক্টোবর ২০২৫, ৬:৩৫ অপরাহ্ন
শেয়ার

মানুষ কীভাবে যুগে যুগে দিগন্ত মেপে সৃষ্টি করেছে মানচিত্র


Map Cover
মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি প্রশ্ন বারবার সামনে এসেছে: আমরা কোথায় আছি? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই জন্ম নিয়েছে মানচিত্র। মানুষের উৎসুক মন সবসময় জানতে চেয়েছে—“আমি কোথায় আছি?” এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার যাত্রাই আসলে মানচিত্রের ইতিহাস। মানুষের ইতিহাস মানেই দিগন্তের খোঁজ, পৃথিবীর আকার ও অবস্থান বোঝার এক বিশেষ সংগ্রাম।

Map Inner 1

এক সময়ের মাটির ফলক থেকে আজকের ডিজিটাল গ্লোব—মানচিত্রের বিবর্তন যেন সেই সংগ্রামে মানবজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভিযাত্রা। কিভাবে মানব সমাজ ধাপে ধাপে “মানচিত্রে পৃথিবী” এঁকেছে, ভুল থেকে শিখেছে, ও নতুন চ্যালেঞ্জের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে? মানচিত্র মানব সভ্যতার অনুসন্ধান, কল্পনা, ক্ষমতা ও প্রযুক্তির ধারাবাহিক বিবর্তন। মানচিত্র কেবল ভৌগোলিক কোনো চিত্র নয়, বরং এটি মানব সভ্যতার দিগন্ত মাপার গল্প- অজানাকে জানার, সীমাহীনকে সীমার মধ্যে আনার প্রচেষ্টা।

প্রাচীন মাটির ফলক থেকে শুরু করে আজকের গুগল ম্যাপস—প্রতিটি মানচিত্র একেকটি সময়ের জ্ঞান, প্রযুক্তি,ক্ষমতা আর দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।

Map Inner 2

প্রাচীন যুগ: বিশ্বাস ও কল্পনার চিত্র
ব্যাবিলনের মাটির ফলকে পাওয়া পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন মানচিত্রে (Imago Mundi, প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের চিত্র) পৃথিবীকে একটি বৃত্তাকার নদী বেষ্টিত রূপে উপস্থাপিত পাওয়া যায়- যা ছিল নিছক ধর্মীয় প্রতীক ও বিশ্বদর্শনের প্রতিফলন (তথ্যসূত্র- Oldest.org, 2023)। প্রাচীন সভ্যতাগুলো তাদের চারপাশ বোঝার জন্য মানচিত্র আঁকতে শুরু করেছিল। সে সময়কার সবগুলো প্রচেষ্টাই ছিল এক রকম বিশ্বাস ও প্রতীকের সমন্বয়। তবে কারো কারো মতে আবার, মানচিত্রের একেবারে প্রাচীনতম চিহ্ন পাওয়া যায় মেসোপটেমিয়ায়, যে মানচিত্রে পংখা আর দেবতাদের অবস্থান বিবেচনায় নির্ধারণ করা হয়েছিলো বিশ্বের কেন্দ্র।
একইভাবে প্রাচীন মিশর বা ভারতের মানচিত্রও ধর্মীয় ধারণা আর ভূগোলের মিশ্রণ। সেই মানচিত্রগুলোতে বাস্তবতার চেয়ে পৌরাণিক ধারণাই প্রাধান্য পেতো বেশি।

Map Inner 3

গ্রিক যুগে মানচিত্র বিজ্ঞানভিত্তিক আকার নিতে শুরু করে। এরাটোসথেনিস (খ্রিস্টপূর্ব ২৭৬–১৯৪) আলেকজান্দ্রিয়া ও সাইনে শহর দুটির সূর্যের ছায়ার পার্থক্য মেপে পৃথিবীর পরিধি অত্যন্ত নির্ভুলভাবে অনুমান করেছিলেন (APS, 2006)। তিনিই প্রথমবারের মতো অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের জাল ব্যবহার করে পৃথিবীকে গ্রিড আকারে মানচিত্রায়িত করে যান। বিভিন্ন জায়গার অবস্থান নির্ধারণে গ্রিড রেখাগুলোর মাঝে রেখাচিত্র (parallels ও meridians) ব্যবহার করা হলো প্রথমবারের মতো।

যদি আরেকটু বিস্তারিতভাবে গ্রিক ও রোমান অগ্রযাত্রাকে বিশ্লেষণ করা যায়, তবে দেখা যায়, খ্রিষ্টপূর্ব ৩য় শতকে এরাটোসথেনিস ঠিকই পৃথিবীর পরিধি হিসাব করেছিলেন বিস্ময়কর নিপুণতার সাথে, একেবারে নিখুঁত। ফলত, তাঁর ধারণাগুলো ধীরে ধীরে তৎকালীন গ্রিক মানচিত্রবিদদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করা শুরু করে। এবং তাঁর সব কাজ যুক্তির আলো ছড়ানো শুরু করে সে সমাজে। ফলত, তাঁরা লজিক নিয়ে খুব বেশি আগ্রহী হয়ে পড়ে সে সময়। আর এইভাবেই গ্রিক যুগে প্রথম “মানচিত্রতে” যুক্ত হলো গণিত ও জ্যামিতি—বিশ্বাস ও কল্পনা থেকে বাস্তবের দিকে ধাপে ধাপে পা বাড়ালো মানুষ।

Map Inner 4
মধ্যযুগ ও ইউরোপীয় দৃষ্টিভঙ্গি
গ্রিক ও রোমান শিল্প-সাহিত্য বিজ্ঞান পরবর্তী সময়গুলোতে মানচিত্রবিদ্যাকে দৃঢ় ভিত্তি দিয়েছিলো। বিশেষ কর, টলেমি (২য় শতকে) তাঁর Geographia-তে মানচিত্র আঁকার নিয়ম তৈরি করেন, বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন। সেখান থেকেই মানচিত্র আঁকার নিয়ম প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায় এক রকম। তিনি আদতে মানচিত্রবিদ্যাকে একটা কাঠামোর মধ্যে আনার চেষ্টা করে যান। তবে মধ্যযুগীয় ইউরোপেও সেই ধর্মই প্রাধান্য পায়; T-O মানচিত্রে পৃথিবীকে দেখানো হতো ক্রুশাকৃতিতে, যেখানে কেন্দ্রবিন্দু জেরুসালেম। তাই বলা যায়, মধ্যযুগীয় মানচিত্রগুলোও বৈজ্ঞানিক নয়, বরং ধর্মীয় প্রতীকী অর্থে প্রণীত হতো। বিশেষ করে, মধ্যযুগের শুরুতে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গীর প্রভাব ছিল অসামান্য। যেখানে “T” নদী বা সমুদ্রকে, “O” পৃথিবী তথা স্থলাংশকে নির্দেশ করতো। বর্তমান চক্রবৃদ্ধি বা জ্যামিতিক যুক্তির চাইতেও ধর্মীয় ও প্রতীকাত্মক অর্থ বহন করাতে পারলেই যেন তৎকালীন কার্টোগ্রাফারদের শান্তি।

ইসলামী স্বর্ণযুগ: জ্ঞানের সংমিশ্রণ, সভ্যতা ও মানচিত্রবিদ্যা
অষ্টম-চতুর্দশ শতকের মাঝামাঝি সময়টা ছিল ইসলামী স্বর্ণযুগে। এই সময়টাতে এসে ভূগোল ও মানচিত্রবিদ্যা এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছায়।

Map Inner 5
World History Encyclopedia, 2021 এর তথ্য অনুযায়ী,দ্বাদশ শতকে (১১৫৪ সালে) আল-ইদ্রিসি তৈরি করেছিলেন বিখ্যাত Tabula Rogeriana, যা ছিল সেই সময়ের সবচেয়ে উন্নত মানচিত্র। তিনি বিভিন্ন উৎস—গ্রিক, আরব ও ভ্রমণকারীদের তথ্য—সমন্বয় করে পৃথিবীকে মোট ৭ টি জলবায়ু অঞ্চলে বিভক্ত করে, ৭০টি আঞ্চলিক মানচিত্র এঁকেছিলেন। যা মেলালে বিশাল এল মানচিত্র হতো।
আবার, একটু বিস্ময়কর হলেও সত্য যে, আল-ইদ্রিসির মানচিত্রগুলোতে দক্ষিণকে (South) উপরে ধরা হয় আর উত্তর থাকে নিচে, যা আধুনিক মানচিত্র থেকে পুরোটাই ভিন্ন আঙ্গিকের ছিল (Public Medievalist, 2016)। তাঁর এই কাজ তিন শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে সর্বাধিক প্রভাব বিস্তারকারী এবং প্রাসঙ্গিক একটা কাজ ছিল (Blogs of the Library of Congress, 2022)।

Map Inner 6
অষ্টম- চতুর্দশ শতকে আসা মানচিত্রগুলো কেবল ভ্রমণ বা ধর্মীয় প্রয়োজনেই নয়, বরং বাণিজ্য, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও প্রশাসনিক কাজেও ব্যবহৃত হওয়া শুরু হলো। ইসলামী যুগে মানচিত্রবিদ্যার উন্নয়ন কেবল চিত্রায়নে নয়—তথ্য সংশ্লেষ, সমালোচনা ও বৈশ্লেষিক পন্থায়ও অনন্য ছিল।

আবিষ্কারের যুগ: মানচিত্রে নতুন পৃথিবী

Map Inner 7
পঞ্চদশ শতক থেকে শুরু হওয়া ইউরোপের “Age of Discovery”-তে মানচিত্র হয়ে ওঠে নৌযাত্রা ও সাম্রাজ্য বিস্তারের প্রধান অস্ত্র। ১৫৬৯ সালে “জেরার্ডাস” মারকেটর প্রক্ষেপণ (Mercator Projection) তৈরি করেন, যা নৌপথ আঁকতে বিপ্লব ঘটায়, কিন্তু তাও মারকেটর প্রক্ষেপণেও মহাদেশগুলোর আকার বিকৃত হয়ে যেতো। মহাদেশের আকৃতি বিকৃত হলেও ভালোর মধ্যে ভালো যা হয়েছিলো, এই মারকেটর প্রক্ষেপণ পৃথিবীকে সমতল কাগজে উপস্থাপন করতে দেখানোর নতুন পথ দেখায়। উল্লেখ্য, নাবিকদের জন্য এই প্রক্ষেপণ বিপ্লবীই ছিল-কারন তাঁরা সমুদ্র পথে একটি সরল রূপরেখা ট্র্যাক করতে পারতো। আর এই প্রক্ষেপণের সমস্যা চিন্তা করলে, সমস্যা ছিল উচ্চ অক্ষাংশের মহাদেশগুলোকে (যেমন Greenland) অসম্ভব বড় দেখা যেতো। এই সময়ে, শুধু নেভিগেশন নয়, রাজনৈতিক দখলদারিত্ব, উপনিবেশ পরিকল্পনা ও ভূখণ্ড বিভাজন ও কারো কারো উদ্দেশ্য হয়ে ওঠে। ইউরোপীয় শক্তিগুলো মানচিত্রকে আধিকারিক উপাদান হিসেবে ব্যবহার করেছে—কোন দেশ কোন অঞ্চল কখন কিভাবে দখল করবে তা ঠিক ঠিক মানচিত্রেই চিহ্নিত হয়ে যেতো বহু আগেই, এরপরেই শুরু হতো পরিকল্পনামাফিক লিয়াজো বা আক্রমন।

ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তিগুলো মানচিত্র ব্যবহার করে ভূখণ্ড দখল, সীমান্ত নির্ধারণ ও প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। আফ্রিকা ও এশিয়ার সীমানা আজও সেই মানচিত্র-নির্ধারিত বিভাজনের প্রভাব বহন করছে।

এবং, দুঃসহ স্বপ্নবৎ কারটোগ্রাফিক জটিলতার বিষফোঁড়ার এক অনন্য উদাহরণ মানচিত্র-নির্ধারিত বিভাজনের প্রভাব বহনকারী সীমান্তরেখা “লাইন অফ কন্ট্রোল” আর কাশ্মীরের সীমান্ত অঞ্চল।

Map Inner 8

অষ্টাদশ ও উনবিংশ শতাব্দীতে ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তিগুলো মানচিত্রকে ব্যবহার করে ভূখণ্ড দখল ও শাসনের অস্ত্র হিসেবে। আফ্রিকা বা এশিয়ার বিভাজন কেবল রাজনীতির মাধ্যমে হয়নি—মানচিত্রের আঁকা সীমানাগুলোই বরং নির্ধারণ করে দিয়েছে কার অধীনে কোন ভূখণ্ড যাবে।
এই সময়েই আধুনিক জরিপ পদ্ধতি ও টপোগ্রাফিক্যাল মানচিত্র তৈরি হয়, যা পরে রাষ্ট্রীয় প্রশাসনিক কাঠামোর ভিত্তি স্থাপন করে।

আধুনিক যুগ: স্যাটেলাইট থেকে গুগল ম্যাপস

Map Inner 9

ডিজিটাল ছোঁয়ায় আঙ্গুলের ডগায় মানচিত্র

উনিশ শতকের শেষে এবং বিংশ শতকের শুরুর দিকে এ্যারিয়াল ফটোগ্রাফি, সেন্সর ও স্যাটেলাইট প্রযুক্তি মানচিত্রবিদ্যায় বিপ্লব আনে। Remote Sensing & Geographic Information Systems (GIS) মানচিত্রকে শুধু ছবি নয়, বরং বিশ্লেষণাত্মক তথ্যভাণ্ডারে রূপ দেয়।
সঠিক ছবি তোলা, (অ্যারিয়াল- অ্যানগুলার ভিউ), ভূ-তথ্য (GIS) বিশ্লেষণ—সবকিছুই বদলে যায়। । আজ আমরা গুগল আর্থ বা গুগল ম্যাপস খুলে এক ক্লিকে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে পৌঁছে যাই। রাস্তায় হাঁটার মতো করে “স্ট্রিট ভিউ”তে ঘুরে দেখা যায় নিউইয়র্ক বা টোকিওর রাস্তা।

একবিংশ শতকে এসে মানুষের প্রচেষ্টা আর প্রযুক্তি ঠিক যেন আঙুলের ডগায়ই পৃথিবী এনে দিয়েছে। আজ মানচিত্র শুধু ভৌগোলিক চিত্র নয়- এটি অর্থনীতি, সমাজ, ব্যবসা ও ব্যক্তিগত জীবনের সিদ্ধান্তে সরাসরি প্রভাব ফেলছে। কখনও কখনও হয়ে উঠছে ব্যক্তিগত তথ্যের ভান্ডার। আমরা কোথায় যাবো, কোন রেস্তোরাঁয় খাবো, কিংবা কীভাবে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাবো – সবকিছুই নির্ধারণে আমাদের পারফেক্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে উঠছে ডিজিটাল মানচিত্র।

মানচিত্র কেবল মানচিত্র নয়
মানচিত্রের বিবর্তন আমাদের বলে, পৃথিবীকে বোঝার পাশাপাশি মানুষ সবসময় নিজের অবস্থান নির্ধারণ করতে চেয়েছে। মানচিত্র কেবল পৃথিবী দেখার যন্ত্র নয়- এটি একেক যুগের দৃষ্টিভঙ্গি, বিশ্বাস ও ক্ষমতার প্রতিচ্ছবি।
প্রাচীন ব্যাবিলনের মাটির ফলকে খোদাই করা নদীর বৃত্ত থেকে শুরু করে গুগল ম্যাপসের ডিজিটাল ইকোসিস্টেম পর্যন্ত- মানুষ সবসময় দিগন্ত মেপে নিয়েছে নিজের বোধ, জ্ঞান ও প্রযুক্তির আলোকে।

Map Inner 10
এ এক লম্বা যাত্রা। শুধু ভূগোলের ইতিহাস নয়; মানুষের কল্পনা, জ্ঞান, প্রযুক্তি আর ক্ষমতার ইতিহাসও বটে।

আমরা যদি শর্ট টেইক অ্যাওয়ের কথা চিন্তা করি পুরো ফিচারটি পড়ে-

মানচিত্র: জ্ঞান ও ক্ষমতার প্রতিফলন
মানচিত্র কেবল ভৌগোলিক চিত্র নয়, বরং প্রতিটি যুগের সাহিত্য, ধর্ম, রাজনীতি ও অর্থনীতির প্রতিফলন। একটি মানচিত্রের ভেতরেই লুকিয়ে থাকে সেই সময়ের সমাজে কার হাতে তথ্য ও ক্ষমতার ভারসাম্য ছিল। কোন গোষ্ঠীর হাতে কতোটুকু কুক্ষিগত ছিল।

ভুল ও বিকৃতির অন্তরালে
মানচিত্র সবসময়ই নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যের জন্য নির্মিত হয়েছে, চিত্রিত হয়েছে। যেমন মারকেটর প্রক্ষেপণ নৌ-ভ্রমণে বিপ্লব ঘটালেও ভূখণ্ডের আকারগত বিকৃতি নিয়ে আসে। কোন প্রক্ষেপণ ব্যবহার হবে—এই সিদ্ধান্তই মানচিত্রের নকশা ও প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণ করেছে, প্রভাবান্বিত করেছে।

তথ্য ও প্রযুক্তির বিবর্তন
মানচিত্রের ভিত্তি প্রাচীন যুগে ছিল সরল পর্যবেক্ষণ ও অনুমান; মধ্যযুগে যুক্ত হলো তথ্য সংগ্রহ ও অভিযোজন; আর আধুনিক যুগে এসেছে তথ্য সংযোগ, বিশ্লেষণ ও রিয়েল-টাইম আপডেট। তবে কোনো যুগেই মানচিত্র সীমাবদ্ধতা ও ত্রুটির বাইরে থাকেনি।

আধুনিক দ্বিধা
ডিজিটাল মানচিত্র আমাদের পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় এনেছে বটে, কিন্তু নতুন প্রশ্নও তৈরি করেছে। নতুন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। গোপনীয়তা, তথ্যের পক্ষপাত (bias), নকশাগত পক্ষপাতের সুযোগ তৈরী করে দিয়েছে। প্রযুক্তিগত আধিপত্য এবং ডিজিটাল বৈষম্য (digital divide)-এসবই আজকের মানচিত্র ব্যবহারের বড় চ্যালেঞ্জ।

Reference
• APS. (2006, June). Eratosthenes measures the Earth. American Physical Society. https://www.aps.org/apsnews/200606/history.cfm
• Blogs of the Library of Congress. (2022, January). Al-Idrisi’s masterpiece of medieval geography. https://blogs.loc.gov/maps/2022/01/al-idrisis-masterpiece-of-medieval-geography
• Oldest.org. (2023). 10 of the oldest known world maps. https://www.oldest.org/geography/world-maps
• Public Medievalist. (2016). The greatest medieval map. https://publicmedievalist.com/greatest-medieval-map
• Wikipedia. (2025a). Eratosthenes. https://en.wikipedia.org/wiki/Eratosthenes
• Wikipedia. (2025b). Mercator projection. https://en.wikipedia.org/wiki/Mercator_projection
• World History Encyclopedia. (2021). Tabula Rogerian. https://www.worldhistory.org/image/14129/tabula-rogeriana