
ছবি: সংগৃহীত
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনি বন্দীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর নতুন করে ক্ষোভ ছড়িয়েছে ফিলিস্তিনজুড়ে।
তুর্কিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, নেগেভ কারাগারে বন্দীদের হাত ও চোখ বাঁধা অবস্থায় মাথা নিচু করে হাঁটতে বাধ্য করা হচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যায়, তাদের চারপাশে অবস্থান করছে সশস্ত্র ইসরায়েলি সেনা ও পুলিশ সদস্যরা।
ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ফুটেজটি মুক্তির আগেই বন্দীদের ওপর নির্মম আচরণের প্রমাণ বহন করছে। তারা বলছে, “যাদের বিনিময় চুক্তির আওতায় মুক্তি পাওয়ার কথা, তাদের সঙ্গে এমন অমানবিক আচরণ আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।”
ফিলিস্তিনি বন্দী ক্লাবের প্রধান আমজাদ আল-নাজ্জার সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ভিডিওটি নেগেভ কারাগারের দৃশ্য, যেখানে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েকজন বন্দীর মুক্তির প্রস্তুতি দেখানো হয়েছে। তাঁর দাবি, এই বন্দীদের গাজায় নির্বাসনের আগে অস্থায়ীভাবে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে আনাদোলু এজেন্সি (এএ) জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন বন্দীর পরিবারের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে এবং পরিবারগুলোকে সতর্ক করেছে—মুক্তি উপলক্ষে যেন তারা কোনো প্রকাশ্য উদযাপন না করে।
আল-কুদস সংবাদপত্রের তথ্যে জানা গেছে, মুক্তির আশায় কিছু বন্দী আগেই পরিবারকে ফোন করে আনন্দের খবর জানিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, চলমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপে ৪৮ জন ইসরায়েলি বন্দীর বিনিময়ে ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে ২৫০ জন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত এবং ২০২৩ সালের অক্টোবরের পর আটক রয়েছেন আরও ১ হাজার ৭০০ জন। ইতোমধ্যে ইসরায়েলের বিচার মন্ত্রণালয় মুক্তিপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেছে।
চুক্তির এই ধাপ কার্যকর হওয়ার আগেই বন্দীদের এমন অমানবিক ব্যবহারের খবর আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।






































