দ. কোরিয়ায় গত ছয় বছরে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রতি ১ লাখে ৫৯২ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন এবং লাখপ্রতি অন্তত ৮ জন মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছেন। ওইসিডিভুক্ত দেশগুলোর উপর পরিচালিত এক জরিপে বেরিয়ে আসা এমন তথ্যের উপর ভিত্তি করে বলা হচ্ছে উক্ত দেশসমূহের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুহারে দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থান তৃতীয়।

২০১০ সালে স্যামসাংয়ের একটি কারখানায় ক্ষতিকর রাসায়নিকের বিষক্রিয়ায় একজন শ্রমিকের মৃত্যুর পর ওই কারখানার সামনে এভাবেই নিরাপত্তামূলক পোশাকে আচ্ছাদিত হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। ছবিটি ১৫ জুলাই, ২০১০ সালে তোলা।
কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় মৃত্যুহারে ওইসিডির দেশসমূহের মধ্যে সবার উপরে রয়েছে তুরস্ক ও মেক্সিকো। দেশদুটোতে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা প্রতি লাখে যথাক্রমে ১৫ ও ১০ জন।
তবে জরিপ বলছে কোরিয়ায় কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার হার অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় কম। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনা চাপা দিয়ে রাখা সম্ভব না হলেও অনেকক্ষেত্রেই জখম বা অঙ্গহানির মতো ঘটনাগুলো কর্তৃপক্ষ ধামাচাপা দিতে সক্ষম হয়।
শুক্রবার কোরিয়ার সংসদে এসব তথ্য তুলে ধরে একজন বিরোধী দলীয় সাংসদ পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যাওয়ার আগেই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।