Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ফাঁসির দণ্ড হলে ২ দিনের হরতাল

hartalজামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর রায় বিপক্ষে গেলে আগামী বৃহস্পতি ও রোববার হরতাল দিতে পারে দলটি। জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর শাখার একজন সহকারী সেক্রেটারি এমন ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, রায় দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে জামায়াতের ঢাকা মহানগর শাখার ওই সহকারী সেক্রেটারি বলেন, ‘মাওলানা নিজামীর রায় যদি বিপক্ষে যায় অর্থাৎ তার ফাঁসি হলে দুই দিনের হরতাল আসতে পারে। বৃহস্পতি ও রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করা হতে পারে। আজ রাতেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দলের পক্ষ থেকে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

chardike-ad

তিনি আরো বলেন, ‘মতিউর রহমান নিজামী জামায়াতের মাথা। তিনি আমাদের আমির। বাংলাদেশের নয়নমণি। ১৬ কোটি তৌহিদি জনতার নেতা। তাকে নিয়ে সরকার ছিনিমিনি খেলছে। অন্যায়ভাবে রায় দেওয়া হলে এর পরিণাম হবে ভয়াবহ। সরকারকে খেসারত দিতে হবে চরমভাবে। শুধু হরতালই নয়, আরো কর্মসূচি পালন করা হবে। সে ক্ষেত্রে জেসএসসি পরীক্ষার সময়সূচি মাথায় নিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

জানা যায়, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে এর আগে যত রায় হয়েছে, তার প্রতিটি রায়ের দিন ও পরে হরতাল কর্মসূচি পালন করেছে জামায়াত। সে ক্ষেত্রে রায়ের আগের দিন হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যতিক্রম ছিল গত ২৪ জুন- নিজামীর রায়ের দিন ধার্য থাকলেও সেদিন কোনো কর্মসূচি দেয়নি জামায়াত। অবশ্য সেদিন নিজামীর রায়ও হয়নি।

নিজামীর ক্ষেত্রে ভিন্নতা অবলম্বন করা হয়েছে সব সেক্টরে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিজামীর রায় ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠে নেমেছে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘জামায়াত-শিবির রায়কে ঘিরে অরাজকতা করতে চাইলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।’

এদিকে মঙ্গলবার সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াতের শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। নিজামীর রায়কে কেন্দ্র করে আজ রাতেও সারা দেশে ব্যাপক অভিযান চালানো হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীতেও বিশেষ অভিযান চালানো হবে। মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক দল। ডিজিএফআই ও এনএসআইয়ের সদস্যদেরও নিয়োজিত করা হয়েছে। তল্লাশি চৌকি বসিয়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।