Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ফরমালিন আমদানির ওপর সরকারের কড়াকড়ি

বাংলাদেশের সরকার মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ফরমালিন আমদানির বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ করে এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বাংলাদেশে মাছ বা ফলের মতো পচনশীল খাদ্যদ্রব্য বেশিদিন তাজা রাখার জন্য বিক্রেতারা এতে ফরমালিন মেশায় – এমন অভিযোগ রয়েছে বহুদিন ধরেই। অনেকেই এখন নিশ্চিত যে বাজার থেকে যেসব ফল, মাছ, কিংবা শাকসব্জিসহ কিনে আনা হচ্ছে তাতে ফরমালিন মেশানো থাকবে এবং এটা অনেকটা স্বাভাবিক।রাজধানীর ইন্দিরা রোডের বাসিন্দা মাজেদা খানম বীথি বলছিলেন, সব ফল আর মাছেই ফরমালিন পাবেন। এটাই স্বাভাবিক। আমি আপেল কিনে ফ্রিজে রেখেছিলাম, যা দু’মাস পরেও নষ্ট হয় নি – ফরমালিন ছাড়া এটা কিভাবে হয়? এ ধরণের অবৈধ ব্যবহার ঠেকানোর জন্যই ফরমালিন আমদানির ওপর কড়া নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার এই চেষ্টা বলে কর্মকর্তারা বলছেন।

chardike-ad

 মাছে ফরমালিন মেশানোর অভিযোগ বহুদিনের

ফরমালিন মূলত বিভিন্ন ল্যাবরেটরি ও শিল্পে ব্যবহৃত হয়। স্কুল-কলেজ ছাড়াও ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও এর বহুল ব্যবহার রয়েছে মূলত নানা জিনিস সংরক্ষণের জন্য। তাছাড়া চামড়া, টেক্সটাইল, মেলামাইন এবং হ্যাচারি শিল্পেও এর বহুল ব্যবহার যৌক্তিক কারণেই। কিন্তু জনস্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর ব্যবহার ঠেকানোর জন্যেই এখন সরকার ফরমালিন আমদানির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

ফরমালিন আমদানি করতে হলে এখন থেকে সরকারের অনুমতি নিতে হবে এবং বিক্রেতাদের এই রাসায়নিক বিক্রির হিসেব রাখতে হবে। সরকারের পক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রী জি এম কাদের বিবিসি বাংলাকে বলেছেন – ফল, মাছ, শাকসব্জিসহ বিভিন্ন খাদ্যে ফরমালিনের অপব্যবহার ঠেকানোর জন্যই অননুমোদিত আমদানি বন্ধ এবং বাজার পর্যবেক্ষণ ও জোরদার করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ফরমালিন পরীক্ষার মেশিন উদ্বোধন

তবে রাসায়নিক পদার্থ আমদানীকারকদের অনেকেই বলছেন, যেসব শিল্পে এই ফরমালিন প্রয়োজন শুধু তাদেরই লাইসেন্স দিলে এর নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে। রাসায়নিক আমদানীকারক পদ্মা ট্রেডিং এজেন্সির প্রধান মামুনুর রশীদ বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন, যেসব শিল্প ফরমালিন ছাড়া চলবে না, মন্ত্রণালয়ের উচিৎ এই অনুমতি শুধু তাদেরই দেয়া । তিনি বলেন, আমদানীর অনুমতি বাণিজ্যিাক প্রতিষ্ঠানকে দিলে তারা যে কোন জায়গায় বিক্রি করতে পারে।

বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের জানান, সরকার পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা শক্ত করছে আর আমদানীকারকদের সাথে এ বিষয়ে বৈঠক করা হয়েছে। তাদের দিক থেকেও এই সিদ্ধান্তে কোন আপত্তি আসেনি। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে পচনশীল খাদ্যে ব্যাপকহারে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে জনমনে উদ্বেগ তৈরির পর বেসরকারি উদ্যোগে রাজধানী ঢাকার দুটি বাজারকে ফরমালিনমুক্ত ঘোষণা করা হয়। এখন অন্যান্য এলাকার বাসিন্দারাও একই ধরনের বাজার প্রতিষ্ঠার দাবি জানাচ্ছেন। খবর বিবিসি বাংলা।