Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

রেহানা জাব্বারির মৃত্যুদণ্ড: ইরানের বক্তব্য

rehana

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান বলেছে, সম্পূর্ণভাবে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করেই কিছুদিন আগে রেহানা জাব্বারিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে পশ্চিমা যেসব কর্মকর্তা বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছেন তা সঠিক নয় বরং ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তেেপর শামিল।

chardike-ad

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহিলা মুখপাত্র মারজিয়ে আফখাম বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, যে মামলা সম্পূর্ণভাবে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে পরিচালিত হয়েছে এবং আপিলের অধিকার দেয়া হয়েছে তা নিয়ে এখন এ ধরনের হস্তপে গ্রহণযোগ্য নয়।

সাত বছর আগে জাব্বারি এক ব্যক্তিকে খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন এবং কয়েকদিন আগে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

এ সম্পর্কে মারজিয়ে আফখাম বলেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের বিচার ব্যবস্থার আওতায় সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে জাব্বারির মামলা পরিচালিত হয়েছে এবং আইন বিভাগ দ্বারা প্রণীত বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রেখেই বিচারকাজ শেষ হয়েছে।

২০০৭ সালের জুলাই মাসে মোর্তেজা আব্দুল আলী সারবান্দি নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন জাব্বারি এবং গত শনিবার ভোরে তাকে ফাঁসি দেয়া হয়। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর তেহরানের সরকারি কৌঁসুলি এ খবর নিশ্চিত করেন এবং তিনি জানান, জাব্বারি তার পূর্বপরিকল্পনা অনুসারে সারবান্দিকে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ড ঘটানোর জন্য তিনি দু দিন আগে ছুরি কিনেছিলেন বলেও প্রমাণ পাওয়া গেছে।

মামলা চলার সময় ২৬ বছর বয়সী রেহানা দাবি করেছিলেন, মোর্তেজা সারবান্দি তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে আত্মরার জন্যই তিনি তাকে ছুরি মেরে হত্যা করেন। তবে মামলার অধিকতর তদন্ত ও ঘটনাস্থলের আলামত পরীা-নিরীা করে তার ওই দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়।

এরপর চলতি মাসে জাব্বারির মৃত্যুদণ্ডাদেশ কয়েকদিনের জন্য স্থগিত রাখা হয় এবং তার আইনজীবীকে সময় দেয়া হয় যাতে তিনি ভিক্টিম পরিবারকে খুনের দায় মাফ করে দেয়ার বিষয়ে রাজি করাতে পারেন। কিন্তু নিহত মোর্তেজা সারবান্দির পরিবার আসামী জাব্বারিকে মাফ করে দিতে রাজি হয়নি।

ইসলামি আইন অনুসারে, খুনের ঘটনা প্রমাণিত হলে যদি ভিক্টিম পরিবার বা নিহতের আত্মীয়-স্বজন মাফ না করেন তাহলে দোষী ব্যক্তিকে অবশ্যই মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। ইরানে ইসলামি আইন চালু রয়েছে সে কারণে এই মৃত্যুদণ্ড ঠেকানো বা স্থগিত করার কোনো সুযোগ ছিল না।