Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

মোনাজাতে ‘জাতির জনক’ না বলায় শিক্ষক বরখাস্ত

potuakhaliমোনাজাত করার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের আগে ‘জাতির জনক’ বিশেষণ যুক্ত না করায় বরখাস্ত হয়েছেন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার এক কলেজশিক্ষক।

ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম মো. রুহুল আমিন। তিনি বাউফল উপজেলার ডা. ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রি কলেজের ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক। গতকাল শনিবার থেকে তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
কলেজের পরিচালনা কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিচালনা কমিটির সভাপতি স্থানীয় সাংসদ ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কলেজে দোয়া-মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মো. রুহুল আমিন। এ সময় তিনি ‘জাতির জনক’ বিশেষণ ছাড়াই শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ করে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন। ‘জাতির জনক’ না বলায় ক্ষিপ্ত হন ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক কয়েকজন শিক্ষক। বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই সময় রুহুল আমিন উপস্থিত সবার সামনে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান এবং পুনরায় মোনাজাত করেন। পরের মোনাজাতে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু’ উল্লেখ করেন।

chardike-ad

গত ৮ অক্টোবর কলেজের পরিচালনা কমিটির এক সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়। সভায় ওই শিক্ষককে ১ নভেম্বর থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কলেজের একাধিক শিক্ষক জানান, তাঁদের জানা মতে, মো. রুহুল আমিন কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। আর তাঁর অনিচ্ছাকৃত ওই ভুলের জন্য সঙ্গে সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করে পুনরায় মোনাজাত করেছেন। এর পরও তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা অমানবিক।
এ ব্যাপারে জানতে আজ রোববার মোবাইলে কলেজশিক্ষক মো. রুহুল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি, ‘ওই দিন (১৫ আগস্ট) আমি রোজা রেখেছিলাম। মোনাজাত করার জন্য আমার কোনো প্রস্তুতি ছিল না। আর ওই ভুলটা ছিল অনিচ্ছাকৃত। বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গেই দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়ে পুনরায় মোনাজাত করেছি। এরপর আমাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।’

কলেজের অধ্যক্ষ মো. হুমায়ন কবি্র বলেন, পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক মো. রুহুল আমিনকে ১ নভেম্বর থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।