Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

বিএনপি সত্যিকার রাজাকারের দল: জয়

joyযারা রাজাকারদের সঙ্গে রাজনীতি করে, তারাও রাজাকার এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, সত্যিকার অর্থে বিএনপি রাজাকারের দল। জিয়াউর রহমান রাজাকারদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর রেডিসন হোটেলে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সুশাসন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

chardike-ad

সজিব ওয়াজেদ জয় বলেন, “ইতিহাসে অনেক কালো দিন গেছে, অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আমরা এত দূর এসেছি। একাত্তর সালে বিশ্বের মহান একটি দেশ পাকিস্তানকে অস্ত্র দিয়ে বোমা দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা ঠেকাতে চেয়েছিল।”

আমেরিকা প্রবাসী প্রধানমন্ত্রী-তনয় বলেন, “এখন আমাদের কোনো দেশকে ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই। অন্যান্য দেশ কী বলে না-বলে তাতে আমাদের কিচ্ছু যায়-আসে না। আমরা আমাদের মতো চলব।”

জয় বলেন, “আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। এখন আমরা মুক্তভাবে স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা করতে পারি। আজকে বাংলাদেশের মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে।”

৪৩ বছর পর যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রসঙ্গে জয় বলেন, “আমাদের দেশেই ষড়যন্ত্র চলেছে। স্বাধীনতার যে আন্দোলন সে আন্দোলন আমরা শেষ করতে পারিনি, সোনার বাংলা গঠন করতে পারিনি। ১৯৭০ সালের নির্বাচনেও কিন্তু বাংলাদেশের সকল মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়নি। বেশির ভাগ দিয়েছে, কিন্তু একশ্রেণীর মানুষ পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলকে ভোট দিয়েছে। তারা কারা সেদিকে আমাদের নজর দিতে হবে। তাদের আমরা চিহ্নিত না করলে হবে না।”

জয় বলেন, “৭৫-এর পর কারা ক্ষমতায় এসেছে, ক্ষমতা দখল করেছে; আর কারা ৭০ সালে পাকিস্তানের দলকে ভোট দিয়েছে। একশ্রেণীর লোক ছিল যারা পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যবসা করত, তাই তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও তারা পাকিস্তানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে চেয়েছিল। আরেক শ্রেণী আছে যারা ক্ষমতার লোভে কাজ করেছে। ৭৫-এর পর সুবিধাবাদীরা ক্ষমতা দখল করেছিল। স্বৈরাচারের সৃষ্টি করা বিএনপিতে এই সুবিধাবাদীরা যোগ দেয় ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য।”

৭৫-এর পর থেকে একের পর এক অপপ্রচার চালানো হয়েছে দাবি করে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, স্কুলের বইয়ে মিথ্যা ইতিহাস শেখানো হয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল সত্য মানুষ ভুলে যাবে। ২০ বছর আগে স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলতে ভয় করত, আমাদের দেশের মানুষ লজ্জা পেত। জয় বাংলা বললে নির্যাতিত হতো।”

জয় বলেন, “যারা সৎ, ভালো কাজ করতে চায়, তারা জোর গলায় সত্যকে তুলে ধরতে লজ্জা পায়। ছোটবেলা থেকেই আমাদের শেখানো হয় মুরব্বিদের সঙ্গে তর্ক করবা না, তাই আমরা মিথ্যার প্রতিবাদ করতে লজ্জা পাই। যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি, তাদের এই মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করতে হবে; লাজুক হলে চলবে না।”

গণমাধ্যমের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, “মিডিয়ার মানুষদের আমি বলি, এত উন্নয়নের কাজ হয়েছে, একের পর এক আন্তর্জাতিক পুরস্কার, আন্তর্জাতিক নির্বাচনে জিতে আসছি, তারপর কীভাবে বলেন, এটা হচ্ছে না, ওটা হচ্ছে না? ভুল তো হবেই, আমরা তো মানুষ। ১৬ কোটি মানুষের দেশে কোনো সমস্যা থাকবে না, এটা কি হয়? তখন মিডিয়ার মানুষেরা বলেন, আমরা তো আওয়ামী লীগের ভালো চাই, তাই সমালোচনা করি। যখন আমরা পাঁচ বছর আগের কথা আর এখনকার কথা বলি, তখন তারা বলেন, আমাদের তো নিরপেক্ষ থাকতে হবে।”

সজিব ওয়াজেদ বলেন, “সত্য আর মিথ্যার মধ্যে কি নিরপেক্ষ থাকা যায়? পাকিস্তান আর স্বাধীন বাংলাদেশের মধ্যে কি নিরপেক্ষ থাকা যায়? যারা রাজাকারদের সঙ্গে রাজনীতি করে, তারাও কি রাজাকার নয়? সত্যিকার অর্থে বিএনপি রাজাকারের দল। জিয়াউর রহমান রাজাকারদের প্রতিষ্ঠিত করেছে।”

সভায় সুচনা বক্তব্য দেন সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ এ আরাফাত। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদ, চিত্রশিল্পী হাসেম খান, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ প্রমুখ। নতুনবার্তা।