Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

ব্যক্তিগত আক্রোশে খুন হয়েছেন ড. শফিউল

safiuব্যক্তিগত শত্রুতার আক্রশে খুন হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শফিউল ইসলাম লিলন। কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নয়, বরং ব্যক্তিগত বিরোধের জের থেকেই এ হত্যাকাণ্ডটি হয়েছে বলে ধারণা করছে র‌্যাব।

রোববার র‌্যাব সদর দফতরে সংবাদ ব্রিফিংয়ে লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান এসব তথ্য জানান।

chardike-ad

এর আগে শনিবার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন ছয়জনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। গ্রেফতারকৃতরা হলেন; মো. আব্দুস সামাদ ওরফে পিন্টু (৩৪), মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে মানিক (৩৩), মো. সবুজ শেখ (১৮), মো. সিরাজুল ইসলাম ওরফে কালু (২২), মো. আল মামুন (৩১) ও মো. ইব্রাহিম খলিল ওরফে টোকাই বাবু (২১)।

তিনি বলেন, ঘটনার ১০ থেকে ১৫ দিন পূর্বে এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুস সামাদ ওরফে পিন্টুর স্ত্রী নাসরিনের (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত) সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন নিহত শিক্ষক।

এ নিয়ে পিন্টুর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। পিন্টু ওই  কথা কাটাকাটির বিষয় নিয়ে শিক্ষককে শায়েস্তা করার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জলের কাছে ক্ষোভ জানায়। উজ্জল উক্ত বিষয়টি নিয়ে নিহত ড. এ কে এম শফিউল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন। এ নিয়ে প্রশাসনিক এলাকাতেই তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। উজ্জল নিজেও অপমানিত বোধ করেন এবং উক্ত শিক্ষককে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করেন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী উজ্জল ও পিন্টু তারই পরিচিত কাটাখালি পৌরসভার যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মানিককে ড. এ কে এম শফিউল ইসলামকে হত্যার দায়িত্ব দেয়। এই প্রেক্ষিতে মানিক হত্যাকাণ্ডের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল সংগ্রহ করে।

তিনি আরো বলেন, গত ১৫ নভেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আবাসিক এলাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের হাউজিং সোসাইটি (বিহাস) সংলগ্ন চৌদ্দপায় এলাকার আতাউর এর বাড়ির পার্শ্বে কাঁচা রাস্তার উপর পৌছা মাত্রই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে মানিক এর নেতৃত্বে শিক্ষকের রাস্তায় বাধা সৃষ্টি করা হয়। এরপর প্রথমে সবুজ শেখ শিক্ষকের মাথায় চা-পাতি দিয়ে কোপ দেয়। সবুজের চাপাতির কোপে শিক্ষক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায়। তৎক্ষণাৎ মামুন, আরিফ, বাবু ও কালুসহ সকলে চাপাতি, হাসুয়া ও চাকু দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে এবং তার মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।

র‌্যাব মুখপাত্র বলেন, ‘এ ঘটনায় কিলিং মিশনে মোট ১১জন জড়িত ছিল। এদের মধ্যে ছয়জনকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করেছে। রাজশাহীতে পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার ৩১ জনের মধ্যে সাগর, আরিফ ও জিন্নাহ রয়েছে বলে তারা শুনেছেন। আর উজ্জল ও জামাই বাবু পলাতক রয়েছে।’  শীর্ষনিউজ।