
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে ‘দেশসেরা উদ্ভাবক’ হিসেবে পরিচিত মিজানুর রহমান আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ ও কারা কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে কারাগারের অভ্যন্তরের একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
মিজানুর রহমান যশোরের শার্শা উপজেলার আমতলা গ্রামের বাসিন্দা ও আক্কাচ আলীর ছেলে। কারা সূত্র জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে তিনি কারাগারের ভেতরে কার্পেট চালির দরজা ভেঙে প্রবেশ করেন। সেখানে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। পরে কর্তব্যরত কারারক্ষীরা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিলেও ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আবিদ আহমেদ জানান, মিজানুর রহমান মূলত কপোতাক্ষ-৩ ভবনে অবস্থান করতেন। তবে কৌশলে কার্পেট চালির দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তিনি আত্মহত্যা করেন।
কারা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, চলতি বছরের ২৪ জুলাই শ্যালক হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা পেয়ে কারাগারে যান মিজানুর রহমান। ঘটনার ২১ বছর পর মামলার রায় ঘোষিত হয়। দীর্ঘদিনের এই মামলার রায়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ওয়ার্কশপ মেকানিক থেকে উদ্ভাবক হিসেবে পরিচিতি পাওয়া মিজানুর রহমান গত এক দশক ধরে ‘উদ্ভাবক মিজান’ নামে জেলায় পরিচিত ছিলেন। তিনি বিদ্যুৎ উৎপাদন, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ যানবাহনসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ভাবন করেন। এসব অবদানের জন্য তিনি দেশসেরা উদ্ভাবকের পুরস্কারও পেয়েছিলেন। পরে নিজের সব সম্পদ মানবতার সেবায় দান করেন বলে জানা গেছে।







































